কিশোর অপরাধীদের নিয়ে যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৭, সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের ওপর জোর দেওয়ার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিশোর গ্যাং মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সবাইকে যুক্ত হতে বলেছেন। প্রথাগতভাবে যেভাবে অন্য অপরাধীদের হ্যান্ডেল করি, তাদের (কিশোর গ্যাং) ক্ষেত্রে একটু বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি দিতে বলেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।

কিশোররা কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও তাদের যেন দীর্ঘমেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলা হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তাদের সংশোধনের জন্য যেন সুযোগ রাখা হয়। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের নিয়োজিত করার যেন সুযোগ রাখা হয়। জেলখানায় যখন রাখা হয় তখন তাদের যাতে অন্য আসামিদের সঙ্গে রাখা না হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রকল্প নেওয়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।

দেশে এখন তিনটি সংশোধানাগার আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো এখন ওভারলোডেড। এর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশোধানাগারে আরও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে বলেছেন, যাতে তারা সংশোধন হতে পারে।

মাহবুব হোসেন বলেন, সমাজে, রাষ্ট্রে তারা যেন তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারে, সেভাবে যেন আমরা তাদের সংশোধন করি। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন। কিশোর অপরাধীদের যখন ব্যবস্থাপনা করা হয় তখন যেন অবশ্যই মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সিলিংয়ের বড় ভূমিকা পালন করেন। অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে বলেছেন।

কিশোর অপরাধীর সংখ্যা তো অনেক বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আইন স্বাভাবিক গতিতে চলবে। যখন কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করবো তখন তাকে যেন তাকে আরও অপরাধী না বানাই। তাকে যেন সংশোধন হওয়ার পরিবেশ দেওয়া হয়। জেলে থাকলেও যেন ভালো নাগরিক হয়ে বের হয়ে আসতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংশোধনের সুযোগটা যাতে তারা পান। কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করার সময় মনে রাখতে হবে, তারা ভবিষ্যতের নাগরিক। অন্য অপরাধীদের সঙ্গে তাদের যেন না রাখি। বিশেষ কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখতে বলেছেন।

Share This Article