ফাঁকা হয়ে আসছে ঢাকা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৫৮, সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

রাজধানীর ঘাট-টার্মিনাল-স্টেশনমুখী সড়কগুলোতে যানজট থাকায় গতকাল গ্রামমুখী অনেককেই বাক্স-পেটরা নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে হাঁটতে দেখা যায়। বিজয়নগর থেকে তোলা - আল আমিন লিয়ন  

এবার ঈদে লম্বা ছুটি মেলায় আগে-ভাগেই শুরু হয়ে গেছে বাড়ি ফেরা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, রাজধানীর সড়ক ততই ফাঁকা হয়ে আসছে। যারা গ্রামের বাড়ি ফিরছেন, তারা ঘাট-টার্মিনাল-স্টেশনমুখী। আর যারা ঢাকায় থাকছেন কিংবা ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা, তারা মার্কেটমুখী। সঙ্গত কারণেই যানবাহনের চাপ মার্কেটমুখী ও টার্মিনালমুখী সড়কগুলোতে। রাজধানীর অন্যান্য সড়কে কমে গেছে যান চলাচল, কমে গেছে জন-কোলাহল।

চিরচেনা ঢাকার চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। ফাঁকা ঢাকায় চলতে দেখা গেছে, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও কিছুসংখ্যক বাস। সড়কে রিকশার চলাচল বেড়েছে। তবে মার্কেটমুখী সড়কে এখনো চাপ রয়েছে, কখনো জটও দেখা যাচ্ছে।

মহাসড়কে গতকাল তেমন চাপ ছিল না। তবে আজ চাপ বাড়তে পারে গার্মেন্টস ছুটির কারণে। গতকাল রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, টিকিট চেকিংয়ের মাধ্যমে মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গত চার দিনের তুলনায় পঞ্চম দিনের ট্রেনের ঈদযাত্রায় মানুষের ভিড় অনেক বেশি ছিল। এর মধ্যে যাত্রাবিলম্ব ছিল কিছু ট্রেনে।

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় খুলনাগামী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। কিন্তু গতকাল রবিবার পৌনে ৩ ঘণ্টা দেরিতে বেলা ২টা ২৭ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা ছেড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই ট্রেনের যাত্রীরা। সিল্কসিটির ২ ঘণ্টা ১২ মিনিট দেরি। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা, ছেড়েছে ৪টা ৫২ মিনিটে। জামালপুর কমিউটারও এক ঘণ্টার বেশি বিলম্বে ছাড়ে। কমলাপুরে রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৪২টি আন্তঃনগর এবং ২৫টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৮টি বিশেষ ট্রেন রাখা হয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেছেন, সার্বিকভাবে আমরা এখন পর্যন্ত সবকিছু ধরে রাখতে পেরেছি। আগামী দুই দিনও এমন সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, প্রতিদিন ট্রেনে করে ঢাকা ও এর আশপাশের স্টেশন ছাড়ছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। আজ ঢাকা ও আশপাশের স্টেশন থেকে ৬৯টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৪৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০ জন। এ ছাড়া লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন রয়েছে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article