উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ট্রেনযাত্রা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১০, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ২২ চৈত্র ১৪৩১

সরিষাবাড়ীগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মিতুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তির মনে হচ্ছে। ভেবেছিলাম বরাবরের মতো এবার বোধহয় অনলাইনে টিকিট কিনতে পারব না। কিন্তু এবার দুবারের চেষ্টাতেই খুব সহজে টিকিট পাওয়া গেছে।

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ (৫ এপ্রিল) সেই ট্রেনযাত্রার তৃতীয় দিন। এ দিন উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্রীদের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

 

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে স্টেশনে প্রবেশের মুখেই অপ্রয়োজনীয় গাড়িগুলোকে নিবেদন করছেন রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। শুধুমাত্র যেসব গাড়িতে যাত্রী রয়েছে, সেসব গাড়িগুলোকে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এরপরে যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে প্ল্যাটফর্মের দিকে প্রবেশ করছেন। শুরুতেই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রয়েছে কি-না সেটি চেক করছেন টিটিইরা।

dhakapostপরের ধাপে চেক করা হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কি-না। সেটির নামের সঙ্গে মিল রয়েছে কি-না যাত্রীদের টিকিটের তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ দফায় প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের মুহূর্তেও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ট্রেনের টিকিট চেক করে দেখা হচ্ছে। এরপরেই যাত্রীরা ট্রেনের শিডিউল দেখে নির্ধারিত গন্তব্যের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন। 

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনলাইনের টিকিটও পাওয়া গেছে অনেকটা সহজেই। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকেও ট্রেনে উঠতে ও নিজ আসনে পৌঁছাতে কোনো বেগ পোহাতে হয়নি।

dhakapost

সরিষাবাড়ীগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মিতুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তির মনে হচ্ছে। ভেবেছিলাম বরাবরের মতো এবার বোধহয় অনলাইনে টিকিট কিনতে পারব না। কিন্তু এবার দুবারের চেষ্টাতেই খুব সহজে টিকিট পাওয়া গেছে। স্টেশনে এসে দেখলাম ভিন্ন এক কারবার। প্রথম চেকপোস্টের পর থেকে আমার আসন পর্যন্ত পৌঁছাতে কোনো ধরনের বেগ পোহাতে হয়নি। অথচ এমনও ঈদ গেছে যেখানে আমার কাছে টিকিট থাকা সত্ত্বেও আমি আমার আসন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি মানুষের ভিড়ে। 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরগামী আরেক যাত্রী মোস্তফা আল ফারুকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ যাচ্ছে... এখন পর্যন্ত কোনো ভিড় দেখছি না। হয়তো ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে বাড়তি নিরাপত্তা থাকায় অন্য লোকজন হয়তো উঠতে পারবে না। কিন্তু এর পরের স্টেশনগুলো থেকে কী হবে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। আশা করছি অন্তত ভালো একটা যাত্রা শুরু হোক।

dhakapost

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। ট্রেন চলাচলের শিডিউলে ৫-১০ মিনিটের মতো সামান্য বিলম্ব থাকলেও বড় ধরনের কোনো বিলম্ব নেই।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article