মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার উপলব্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ: সায়মা ওয়াজেদ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:২০, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ২২ চৈত্র ১৪৩১

 এই বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য—‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’ (মাই হেলথ, মাই রাইট)। বিশ্ব এখন রোগ-ব্যাধি, প্রাকৃতি বিপর্যয়, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক সঙ্কটের মুখোমুখি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার উপলব্ধি করা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর অর্থ হলো—এমন পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রত্যেকে উচ্চ মানের স্বাস্থ্যসুবিধা গ্রহণ করতে পারেন, যা জনগণের চাহিদা এবং মর্যাদাকে অগ্রাধিকার দেয়।


৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সবার জন্য স্বাস্থ্যের অধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে ডব্লিউএইচও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য—‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’ (মাই হেলথ, মাই রাইট)। বিশ্ব এখন রোগ-ব্যাধি, প্রাকৃতি বিপর্যয়, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক সঙ্কটের মুখোমুখি।

ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্যের অধিকার পূরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্তর্নিহিত নির্ধারক উভয়ই উপলব্ধ, প্রাপ্তিযোগ্য, গ্রহণযোগ্য এবং পর্যাপ্ত মানের হওয়া উচিত।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বছর উদযাপন করার সাথে সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল স্বাস্থ্যের অধিকারের বিষয়ে অনেক অর্জন দেখেছে এবং অনেক কিছু উদযাপন করতে পারে।

ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজে সার্ভিস কাভারেজ সূচক ২০১০ সালে ৪৭ থেকে ২০২১ সালে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে, উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে মেডিকেল, ডাক্তার, নার্স এবং মিডওয়াইফদের গড় ঘনত্ব প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যায় ২৮.০৫-এ দাঁড়িয়েছে। তা ২০১৫ সালের পর থেকে ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই অঞ্চলে ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে ৬৮.৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০০ সালে ৮৪ থেকে ২০২১ সালে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০০০ সালে নবজাতকের মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪১ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে নতুন এইচআইভি সংক্রমণ ২৫ শতাংশ এবং ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ৬২ শতাংশ কমেছে।

সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, এই অঞ্চলের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার অন্তরঙ্গ সঙ্গীর সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। যেখানে গ্রামীণ ও অশিক্ষিত মহিলারা এবং সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।

Share This Article