নারীর ঋতুচক্র কী চাঁদের অবস্থানের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়, গবেষণায় যা জানা গেল

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:০০, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নারীর ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড এমনকি পুরো ঋতুচক্র কি পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার সঙ্গে মিল রেখে পরিবর্তিত হয়? এটি বেশ পুরোনো প্রশ্ন। এবং এর উত্তর দেয়া কঠিন। এমন অনেক গবেষক আছেন যারা ধারণা করেন, কৃত্রিম আলো যখন ছিল না, অর্থাৎ প্রাচীনকালে, তখন নারীর পিরিয়ড চাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতো।

এবং কেউ কেউ এমনও মনে করেন, চাঁদের অবস্থান এবং পৃথিবীর সঙ্গে এর একমাত্র উপগ্রহটির মহাকর্ষীয় টান– এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে নারীদের ঋতুস্রাবের একটি যোগসূত্র থাকতে পারে। অন্যান্য গবেষণায় যদিও এদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র চাঁদ এবং মানবদেহই নিশ্চিতভাবে এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে।

যদি বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিকে তাকান, এর উত্তর হলো, সম্ভবত করে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় এই ধারণার সঙ্গে কিছু মিল পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা পূর্ণিমা-অমাবস্যার চক্র পর্যবেক্ষণ করেন, সেই সঙ্গে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ টানও।

এবং তারা দেখতে পান, মাধ্যাকর্ষণ এবং চাঁদের আলো– দুটোই নারীর ঋতুচক্রকে প্রভাবিত করে। পূর্ণিমার খানিকটা আগে পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে। তবে গবেষকরা কেবল অস্থায়ীভাবে এমন মিল খুঁজে পেয়েছেন। কোন নারীরই চাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে এমন মেলবন্ধন থাকে না। গবেষণাটি চালানো হয় খুবই অল্প সংখ্যক মানুষের উপর।

অন্যান্য গবেষণাতেও ঋতুচক্র ও চাঁদের মধ্যে সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে কোন সম্পর্কই খুঁজে পায়নি এমন গবেষণার সংখ্যাও কম নয়। তবে একটা জিনিস নিশ্চিত। চাঁদের অবস্থানের প্রভাব রয়েছে অন্যান্য প্রাণীর যৌনসংসর্গে। যেমন কিছু কৃমির ওপর, এমনকি কিছু প্রবালেও। চাঁদ তাদেরকে নির্দেশনা দেয় কখন সঙ্গী খুঁজতে হবে এবং যৌনসঙ্গম করতে হবে। 
 

বিষয়ঃ গবেষণা

Share This Article