ডায়েটে রাখুন কলা সারবে রোগ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫০, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫ পৌষ ১৪২৮
পাকা ও কাঁচা দুই রকম কলাই পুষ্টিকর
পাকা ও কাঁচা দুই রকম কলাই পুষ্টিকর

লাইফস্টাইল ডেস্ক: স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল কলা। পাকা কলা, কাঁচা কলা দুই রকম কলাই পুষ্টি যোগান দেয়ার পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে থাকে।

কলা মিষ্টি হওয়াতে অনেকেই ভাবতে পারে এটি ক্যালরি বাড়িয়ে মোটা করে দিতে পারে শরীরকে। তবে এটি ভুল ধারণা। রকম ভেদে কলার গুণাবলিও বদল হয়। চলুন জেনে নেই  কলার পুষ্টিমান ও গুণাবলি ।

কলা যখন কাঁচা থাকে তখন এর গায়ের রঙ সবুজ থাকে এবং যখন আস্তে আস্তে পেকে যায় তখন হলুদ রঙ ধারণ করে। ফলে এর পুষ্টিগুণ ও চেঞ্জ হয়ে যায়।

সবুজ কলাতে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এর পরিমাণ বেশি এবং এতে শর্করার পরিমাণ ও তুলনামূলক কম থাকে। এছাড়া এতে অ্যামিনো অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো সব প্রয়োজনীয়  উপাদানগুলো রয়েছে সঠিক পরিমাণে।

কলা যখন পেকে যায় তখন এতে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এ শর্করায় পরিবর্তন হয়। যার ফলে হলুদ হওয়ার পর এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। আর তার সাথে এতে বেশি পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও।

একটু বেশি পেকে যাওয়া কলাতে অধিক পরিমাণের শর্করা থাকে। যে কলা যত বেশি পাকা থাকবে মানে এর রঙ যত চেঞ্জ বা ছোপ ছোপ খয়েরি কালার রঙ ধারণ করবে,এর শর্করার পরিমাণ ততো বেশি থাকবে।

তাই অধিক পাকা কলা মানে খয়েরি রঙ ধারণ করা কলা তে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং শর্করার পরমান বেশি থাকে।

কলা সবাই খেতে পারবে এতে কোন না নেই।এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরা ও খেতে পারবে এই কলা। সেক্ষেত্রে তাদের খাবারের তালিকায় যে ফল থাকবে তার মধ্যে ৫০-৭৫ গ্রাম কলা খাওয়া যাবে। আবার যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারাও চাইলে এই কলা খেতে পারেন অনায়াসে।

যাদের পেট খারাপ থাকে তারা চাইলে কাঁচা কলা খেতে পারেন। এতে ফাইবার বেশি থাকায় ভালো হজম হতে সহায়তা করে। যাদের পটাশিয়াম এর অভাব রয়েছে শরীরে তারা চাইলে কলা খেতে পারেন। কেননা এতে উচ্চ পরিমাণের পটাশিয়াম রয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও।

যাদের ওজন কম তারাও চাইলে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই কলা। এতে উপকার পাবেন। যাদের হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তারা তাদের ডায়েটে এই কলা রাখতে পারেন।

চেষ্টা করবেন সবসময় কলা ভারী খাবারের পরে খাওয়ার। এক্ষেত্রে ১/২ ঘণ্টা পর খেতে পারেন।এতে আছে প্রচুর ফাইবার তাই ভারী খাবারের সাথে খেলে শরীর নিতে পারবে না সহজে। আপনি চাইলে একে স্মুদি করে ও খেতে পারেন এমনি খেতে না চাইলে।এক্ষেত্রে কলা এবং ওটস এবং একটু তরল দুধ মিশিয়েও স্মুদি বানিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।এটাও অনেক উপকারী শরীরের জন্য। তাই আপনি চাইলে খাবারের পাশাপাশি এই কলা ও রাখতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর যেমন সুস্থ থাকবে।সাথে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি ও কমবে।

বিষয়ঃ রুপচর্চা

Share This Article