সচেতন হতে হবে নাকের পলিপ নিয়ে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:০৫, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩ পৌষ ১৪২৮

অনলাইন ডেস্ক:

নাকের ভেতরে যে মাংসপেশি এবং মিউকাসের আবরণ আছে, সেগুলো অনেক সময় ইনফেকশন বা এলার্জির কারণে সংবেদনশীল হয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে শুরু করে। এ ধরনের সমস্যায় অনেক দিন যদি বিনা চিকিৎসায় থাকা হয়, তাহলে তখন এগুলোতে পানির মতো করে ফুলে শেষ পর্যন্ত নাকে পলিপ তৈরি হয়। নাকের পলিপ ও তার প্রতিকার নিয়ে লিখেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী

লক্ষণ দেখে পলিপ কীভাবে ধারণা করা যায় :

হাঁচি, সর্দি, নাক থেকে পানি পড়া এগুলো তো হবেই, এসব সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগতে ভুগতে দেখা যাবে নাক বন্ধের সমস্যা হচ্ছে। নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে। সংক্রমণ বা ইনফেকশন হয়ে নাক থেকে সর্দি পড়ে। অনেক সময় সর্দি পেকে নাক থেকে পুঁজের মতো তৈরি হওয়া শুরু হয়। এ জিনিসগুলো চলতে চলতে একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এ লক্ষণগুলো সচরাচর নাকের পলিপ আক্রান্ত সব রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়।

নাকের পলিপের প্রকারভেদ এবং পার্থক্য :

চিকিৎসা বিজ্ঞানে নাকের পলিপকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটিকে ইথময়ডাল পলিপ বলে। আরেকটি এনট্রোকোয়ানাল পলিপ। ইথময়ডাল পলিপের ক্ষেত্রে নাকের যে ওপরের অংশ, যাকে নাকের সেতু বলা হয়, এখানে অনেক কোষ থাকে। কোষের দেয়াল পাতলা থাকে, এগুলো ফুলে মাংসপেশি হিসাবে ঝুলে পুরোটাই বন্ধ হয়ে যায়। এর মূল কারণ এলার্জি। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের পলিপ বেশি দেখা যায়। ইথময়ডাল পলিপ নাকের দুই পাশেই একসঙ্গে হয়। এনট্রোকোয়ানাল পলিপ, যেটা মেক্সিলা নামক বায়ুকুঠুরি থেকে আসে, সাধারণত একদিকেই হয়। এটি সাধারণত নাকের পেছনের দিকে গিয়ে গলায় গিয়ে বড় হয়ে নাকের আকৃতিটাই বন্ধ করে দেয়। তখন শ্বাস নিতে পারে না। এ ধরনের পলিপের মূল কারণ ইনফেকশন। এনট্রোকোয়ানাল পলিপ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত বেশি হয়।

যে ভুল/ভ্রান্ত ধারণা অপচিকিৎসার জন্ম দেয় :

অনেকেই নাকের মধ্যে মাংসপিণ্ডের মতো দেখায় সেটাকে পলিপ বলে ভুল করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো পলিপ নয়, এগুলোকে টারবিনেট বলে। ইনফিরিয়র টার্বিনেট দুই পাশে বড়। এ ইনফিরিয়র টার্বিনেটকে পলিপ বলে বিভিন্ন অপচিকিৎসা করা হয়। পলিপটা হবে সাদা, আঙ্গুর ফলের মতো। এটা যদি আমরা কিছু দিয়ে স্পর্শ করি এর কোনো সেন্স থাকবে না। অপরদিকে টার্বিনেট হবে একটু লালচে। আর পলিপের চারপাশে দেখা যায় ঝুলন্ত থোকার মতো।

পলিপের যথাযথ চিকিৎসা কি হতে পারে :

পলিপ হয়ে থাকলে দেখতে হবে এটি প্রাথমিক অবস্থায় ছোট রয়েছে কী না। প্রাথমিক অবস্থায় যদি খুব ছোট থাকে তাহলে নাক-কান-গলার চিকিৎসকরা অ্যান্টি অ্যালার্জিক মেডিসিন দেন এবং একই সঙ্গে লোকাল স্টেরয়েড জাতীয় স্প্রে হিসাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে নিয়ম মেনে চললে অনেক সময় নাকের ওই পলিপ ছোট হয়ে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যদি পরীক্ষা করে দেখা যায়, নাকের পলিপ বেশি বড় হয়ে গিয়েছে; সেসব ক্ষেত্রে অপারেশন করে নাকের পলিপ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব। যেহেতু নাক বন্ধ থাকার কারণে রোগীর কষ্ট হয়; পলিপ বের করে ফেললে কষ্টটাও কমে যায়। পলিপ অস্ত্রোপচার করলে সঙ্গে সঙ্গে রোগী ফল পাবেন। আর পলিপ অপারেশনের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে আধুনিক চিকিৎসার অংশ হিসাবে ফেস (FESS) খুবই কার্যকর এবং জনপ্রিয়। সহজ কথায়, নাক-কান-গলার চিকিৎসকরা পলিপের উৎপত্তি স্থল, আকার, সংখ্যা ইত্যাদি দেখে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তাপপ্রবাহ নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়া: অপু

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ নথি সই, চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, বিএনপি দেখে না: কাদের

মার্কিন চাপ নয়, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হলেই জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস