কানের লালগালিচায় কালো ধোঁয়া
বিনোদন ডেস্ক:
নারীবাদী আন্দোলনে যুক্ত ১০ সদস্য একটি লম্বা ব্যানার ধরে একহাতের মুঠো উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। ব্যানারে দেখা যায় ১২৯ জন নারীর নাম, যারা গৃহনির্যাতনের কারণে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চারজন আরেক হাতে কালো ধোঁয়া উড়িয়ে দেন।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় ২২ মে বিকালে চোখে পড়ে অন্যরকম এ দৃশ্য। ফরাসি দম্পতি মারি পেরেনেস ও সাইমন দ্যঁপারদো পরিচালিত ‘ফেমিনিস্ট রিপোস্ট’ প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হয় ফ্রান্সের নারীবাদী আন্দোলনকারীদের গল্প।
রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের সাল বুনুয়েল প্রেক্ষাগৃহে স্পেশাল স্ক্রিনিং শাখায় দেখানো হয় এটি।
২০১৯ সাল থেকে ফ্রান্সের মেট্রোপলিটনে বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে ও ছোট শহরগুলোর দোকানের সামনে সাদা শিটের ওপর কালো অক্ষরে নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে নানান বার্তা চোখে পড়ে পথচারীদের।
মারি পেরেনেস ও সাইমন দ্যঁপারদো সেই তরুণীদের সঙ্গে দেখা করতে ও তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা শুনতে বেরিয়ে পড়েন, যারা রাতের আঁধারে এসব স্লোগান লিখেছেন। ফ্রান্সের দশটি শহর ঘুরে ‘ফেমিনিস্ট রিপোস্ট’ প্রামাণ্যচিত্রের দৃশ্যধারণ করেছেন তারা। এর দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ২৭ মিনিট।
প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যায়- এলিস, অ্যালেক্সিয়া, সিসিলি ও জিল হাজার হাজার তরুণীর মতোই প্রতিদিন পথেঘাটে যৌন হয়রানির শিকার হয়। রাতের আঁধারে সাদা শিট ও কালো রঙে নারীদের ওপর সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সেøাগান লিখে রাখে তারা। তাদের অনেকে দীর্ঘদিন ধরে নারীবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, কেউ কেউ কখনো এমন কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি।
ধ্রুপদি ছবির শাখা কান ক্ল্যাসিকসে ২২ মে সকাল ৯টায় প্রদর্শিত হয় চেক প্রজাতন্ত্রের ভেরা শিতিওভা পরিচালিত ‘ডেইজিস’ (১৯৬৬)। একই ভেন্যুতে দুপুর ২টায় দেখানো হয় ১৯৭৩ সালে কান প্রতিযোগিতা শাখার বাইরে প্রদর্শিত ‘ভিশনস অব এইট’।
২০১৩ সালেও কান ক্ল্যাসিকসে প্রদর্শিত হয়েছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ওপর নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন ৮ জন। মার্টিন স্করসেজির ‘দ্য লাস্ট ওয়াল্টজ’ (১৯৭৮) প্রদর্শিত হয়েছে রাত ১০টায়। সবই ছিল সাল বুনুয়েল প্রেক্ষাগৃহে।
