চাঁদের মাটিতে গাছ : আশা দেখছেন বিজ্ঞানীরা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৯, শনিবার, ১৪ মে, ২০২২, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

চাঁদের মাটিকে বলা হয় রিগোলিথও। অর্ধশত বছর আগে অ্যাপোলো অভিযানের সময়ে চাঁদ থেকে মাটি এনেছিলেন মহাকাশচারীরা। ওই মাটিগুলো সে সময়ে ব্যবহার না করে পরীক্ষাগারে ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়েছিলো। উদ্দেশ্য ছিল, পরে যখন বিজ্ঞান আরও উন্নত হবে, সে সময়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন করে চন্দ্রাভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা নাসাসহ রাশিয়া ও চীনের বিজ্ঞানীরা। তাই সম্প্রতি ‘তোরঙ্গ’ থেকে বের করা হয়েছিল অ্যাপোলো অভিযানের সময়ে আনা মাটির নমুনা।

 

গবেষণাগারে সেই মাটিতেই এই প্রথম সবুজ প্রাণের সঞ্চার ঘটালেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, এই মাটিতে তেমন পুষ্টিগুণ নেই।তারই মধ্যে জন্মেছে অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা।এদের জীবনীশক্তি খুব বেশি। গাছটিকে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। এটি ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস জাতের গাছ। গবেষণাগারে এই কাজটি করে দেখিয়েছে ফ্লরিডা বিশ্ববিদ্যালয়।

উল্লেখ্য অ্যাপোলো ১১, ১২ এবং ১৭ অভিযানে মহাকাশচারীরা চাঁদের মাটি নিয়ে ফিরেছিলেন। গবেষণাগারে সেই নমুনা ব্যবহার করা হয়। সামান্য রিগোলিথে (একটি গাছের জন্য এক গ্রাম মাটি) বীজ ছড়িয়ে জল দেওয়া হয়েছিল। যোগ করা হয়েছিল সারও। তাতেই গবেষণাগারের ট্রেতে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সবুজ চারা। উদ্যানবিদ্যার অধ্যাপক অ্যানা-লিসা পল বলেন, দু’রকম ট্রে ছিল। এক ধরনের ট্রেতে চাঁদের মাটিতে বীজ ছড়ানো হয়েছিল। অন্য ট্রেতে পৃথিবীর মাটিতে বীজ দেয়া হয়। দু’ক্ষেত্রেই একই রকম গাছ হয়েছে।

২০ দিন বাদে ফুল আসার ঠিক আগে মাটি থেকে গাছগুলি কেটে নেয়া হয়েছিল। তারপর তা পাঠানো হয়েছিল আরএনএ সিকোয়েন্সিংয়ে। জিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অ্যারাবিডোপসিসের প্রতিক্রিয়া যেমন হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সামান্য দুর্বল। তবে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, আসল কথা হল, গাছ জন্মেছে।

বিষয়ঃ আবিষ্কার

Share This Article