গুরুর মাংসে চর্বি দেয়ায় কসাইকে ‘কোপালেন’ প্রভাষক

আদিতমারী প্রতিনিধি: মাংস কেনার সময় গরুর মাংসে একটু চর্বি বেশি দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুলকে (৩৫) নামের এক কসাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত কসাই শহিদুলের অভিযোগ, মাংসে একটু চর্বি বেশী দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারই দোকানের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে আহত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক হযরত আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে সাপ্টিবাড়ী বাজারে শহিদুলের মাংসের দোকানে মাংস ক্রয় করতে আসেন সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হযরত আলী (৪৪)। মাংস ওজন করে দেয়ার এক পর্যায়ে চর্বি না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন হযরত আলী। কিন্তু মাংস বিক্রেতা চর্বি ছাড়া মাংস বিক্রয় করা যাবে না বলে জানায়।
এর এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। পরে কলেজ শিক্ষক হযরত আলী তার নিজের আত্মীয় স্বজনদের ফোনে বিষয়টা জানান। তারা দ্রুত সাপ্টিবাড়ী বাজারে ওই মাংস বিক্রেতার দোকানে এলে শুরু হয় হাতাহাতি।
এক পর্যায়ে শহিদুলের মাথায় আঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন কলেজে শিক্ষক হয়রত আলী। তিনি এক রকম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েল বলেন শহিদুলের মাথায় প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার মাথায় ১২টি সেলাই করা হয়েছে, সুস্থ হয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে তার।
আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হযরত আলী বলেন, মাংসে চর্বি নয়, দাম বেশী চাওয়ায় একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। তার মাথায় তিনি নিজেই আঘাত করেছেন বলে তিনি দাবী করেন।
ওসি মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি তবে এখনও অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।