বিষধর সাপের কামড়েও ঘোড়া মরে না কিন্তু কেন?

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৩৬, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

ফিচার ডেস্ক:  

বিষাক্ত সাপের বিষে হাতিসহ অন্যান্য প্রাণি মারা গেলেও কয়েকটি মাত্র প্রাণি আছে যারা সাপের বিষে মরে না। এমন একটি প্রাণী হচ্ছে ঘোড়া।

সাপের কামড়ে ঘোড়া মরে না। তিনদিন অসুস্থ থাকে, তারপর সুস্থ হয়ে যায়। আর এই ঘোড়া থেকে আসে পৃথিবীর সব সাপের বিষের প্রতিষেধক (এন্টি ভেনম)।

পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক প্রাণি নিজের শরীরে সাপের বিষ প্রতিরোধের ওষুধ তৈরি করতে পারে।


যেমন:বেজি, উট, ঘোড়া, হাঙ্গর। কোন একটি সাপ, ধরুন, কিং কোবরা’র এন্টি ভেসম তৈরি করতে হলে যা করতে হয় তা হল, ওই সাপের বিষ ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে হয়।

প্রচুর পরিমাণ ঢোকালেও সমস্যা নেই। ঘোড়ার কিছু হয় না। কিছু হয় মানে সহজ করে বললে ঘোড়া মরবে না। তবে ঘোড়া তিনদিন অসুস্থ থাকবে।

এরপর সুস্থ হয়ে যাবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের এন্টি ভেনম তৈরি হয়ে যাবে।

ঘোড়ার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাত্‍ ম্যাট্রিক্স থেকে এন্টি ভেনাম আলাদা করা হয়।

ঘোড়া স্বাস্থ্যবান প্রাণি এবং এর শরীরে অনেক রক্ত থাকে। এর শরীর থেকে বেশি পরিমাণ রক্ত নিলেও নিলেও এর কোন ক্ষতি হয় না।

গড়ে প্রতি ঘোড়া থেকে প্রায় ৬ লিটার রক্ত নেওয়া যায়। এতো বেশি পরিমাণ নেয়ার পরও ঘোড়ার তেমন ক্ষতি হয় না।

এখন এই এন্টি ভেনমের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বোতলজাত করে  বাজারে সরবরাহ করা হয়। সাপের প্রতিধেষক হিসেবে যা খুবই কার্যকরি।

চিকেন পক্সের এন্টিবডি এবং সাপের বিষের এন্টি ভেনমের মূলনীতি প্রায় একই। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এন্টিবডি তৈরি করে আমাদের শরীর । আর সাপের বিষের ক্ষেত্রে সেটি তৈরি হয় ঘোড়ার শরীরে। এই এন্টি ভেনম সাপে কাটা রোগীর শরীরে ইনজেকশন করলে এন্টি ভেনম শরীরে থাকা ভেনমকে অকার্যকর করে রোগীর জীবন বাঁচায়।

 

Share This Article