বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্ট

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৪৪, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। আলোক স্বল্পতার কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই খেলা হচ্ছিল ফ্লাডলাইটের আলোয়।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ঘণ্টাখানেক খেলা হয়েছে। তারপর মিরপুর শেরে বাংলায় নেমে এলো বৃষ্টি। পিচ কাভার দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারেরা মাঠ ত্যাগ করেছেন। খেলা বন্ধের আগে ৪৪ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৩ রান।

ঢাকা টেস্ট শুরুর ৩৫ মিনিটের মাঝেই আকাশ আরও মেঘলা হয়ে যায়। আলো কমে আসে। তাই সকালবেলাতেই মিরপুর শেরে বাংলায় জ্বলে ওঠে ফ্লাডলাইট। ১০ম ওভারেই সাকিবকে দিয়ে শুরু হয় স্পিন আক্রমণ। ১৬তম ওভারে আসাদ শফিকের বিপক্ষে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন হয়। আম্পায়ার নাকচ করলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে সেটা ব্যর্থ হয়। বোলার ছিলেন সাকিব।

প্রথম সাফল্যের জন্য টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে সোয়া ঘণ্টার মতো। ইনিংসের ১৯তম ওভারে আব্দুল্লাহ শফিককে বোল্ড করে দেন তাইজুল ইসলাম।

তাইজুলের হাত ধরে আসে দ্বিতীয় সাফল্য। ২৫তম ওভারে আবিদ আলীকে বোল্ড করে দিয়েছেন এই স্পিনার। ৮১ বলে ৬ চারে ৩৯ রান করে ফিরেন আবিদ। ৭০ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের। আজহারের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক বাবর আজম। তাইজুলকে চার মেরে বাবর রানের খাতা খোলেন। এর মাধ্যমে ৩৮ বল পর রান পেল পাকিস্তান! মধ্যাহ্ন বিরতির আগে অতিথিদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৮ রান। বিরতির পর মেহেদি মিরাজের করা ৩৬তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানের স্কোর একশ পার করেন অধিনায়ক বাবর আজম।

ঢাকা টেস্টে চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ৯৯তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। সাদমান ইসলামের সঙ্গে তাকেই ওপেনিংয়ে দেখা যাবে। প্রায় আড়াই বছর পর দলে ফিরেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। সাইফের পাশাপাশি বাদ পড়েছেন আবু জায়েদ এবং চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত ইয়াসির আলী। তবে টেস্ট স্কোয়াডে থাকলেও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় একাদশে নেই তাসকিন আহমেদ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ নিয়েই নেমেছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ৮ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ হোসেন, এবাদত হোসেন।

পাকিস্তান একাদশ : আবিদ আলী, আব্দুল্লাহ শফিক, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাহিম আশরাফ, নুমান আলী, হাসান আলী, সাজিদ খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

Share This Article