প্রিন্স তো আমাদের লেভেলের না: শুভ্র দেব

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩০, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬ ফাল্গুন ১৪৩০

আমাকে যারা চেনে তারা অনেকেই বলেছে দেরিতে হলেও আপনি একুশে পদক পেয়েছেন। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যা দিয়েছি, শুধু গান গেলেই হয় না। আর যারা সমালোচনা করছেন তারা তো আমার র‌্যাংকের না। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আমার পল্লবীর বাসায় এসে বসে থাকতো। 

কিছুদিন আগেই দেশের জনপ্রিয় সংগীতজ্ঞ প্রিন্স মাহমুদ একটি ফেসবুক পোস্টে একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী শুভ্র দেবকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন-তিনি যেন একুশে পদক না নেন। প্রিন্স মাহমুদ ওই পোস্টে আলাউদ্দিন আলীকে সবার আগে একুশে পদক দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এ বিষয়ে শুভ্র দেব সম্প্রতি কথা বলেছেন।


গণমাধ্যমকে শুভ্রদেব বলেন, আমাকে যারা চেনে তারা অনেকেই বলেছে দেরিতে হলেও আপনি একুশে পদক পেয়েছেন। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যা দিয়েছি, শুধু গান গেলেই হয় না। আর যারা সমালোচনা করছেন তারা তো আমার র‌্যাংকের না। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আমার পল্লবীর বাসায় এসে বসে থাকতো। অনেকেই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। অনেকের প্রতি আমার করুণা হয়, তারা হতাশাগ্রস্ত।


তিনি বলেন, অনেক তথ্যই অনেকে জানে না। আমি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলাম সাউথ ইস্ট এশিয়ায় ১৯৯৪ সালে। আমি ও বলিউডের আমির খান।

প্রিন্স মাহমুদের ওই পোস্ট প্রসঙ্গে বলেন, প্রিন্স মাহমুদ ক্যারিয়ারের দিক থেকে আমার অনেক জুনিয়র। ও আমার পল্লবীর বাসায় থাকতো আমাকে দিয়ে গান গাওয়ানোর জন্য। ও একটা মিক্সড অ্যালবামে গান করার জন্য অনেকদিন গিয়ে বসে ছিল। আমি মিক্সড অ্যালবামে গান করবো না কারণ তখন সলো অ্যালবামে আমি হাইয়েস্ট পেইড ছিলাম। তারপরেও আমার খারাপ লাগলো, অনেক ইয়াং একটা ছেলে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে তিনি বলেন, প্রিন্স তো আমাদের লেভেলের না। সত্যি কথা বলতে কী আমি তাদেরই কাউন্ট করবো যার মিউজিক ওয়ার্ল্ডে অনেক বড় কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। এমটিভি থেকে যখন শুট হয়, বাংলাদেশ থেকে আমাকে দিলো আর মাইলসকে দিলো। আমার কারও প্রতি কোনো ব্যাড ফিলিংস নাই।

গত ঈদে আলোচিত ছিল প্রিয়তমা চলচ্চিত্র। প্রিন্স মাহমুদের সুর করা এই চলচ্চিত্রের দুটা লাইন শুভ্র দেবের গান থেকে নেওয়া বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছিলাম।

কিন্তু আমি ভেবেছি যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। শিল্পীদের অনেক বড় থাকতে হয়। কেউ কেউ ভাইরাল হওয়ার জন্য অনেককিছুই করে। এটাকে আমি ধর্তব্যের মধ্যে ধরি না।

নিজের গান প্রসঙ্গে জনপ্রিয় এই গায়ক বলেন, ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া এ মন আমার পাথর কেন...গানটা তুমুল আলোচিত। আপনি কারওয়ান বাজার যান। সেখানে যে কোনো বয়সের কাউকে জিজ্ঞেস করেন, ৯৯ ভাগ মানুষ দুই লাইন গেয়ে শুনিয়ে দেবেন। কিন্তু এখন কোনো গান কি ৯৯ ভাগ মানুষ গাইতে পারবে?    

শুভ্রদেব বলেন, আমার ক্যারিয়ার ৩৯ বছরের হয়ে গেছে। এরমধ্যে বাংলা গান নিয়ে কাজ করেছি ২৫ বছর ধরে। বাংলা গান বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করেছি। আমার ইচ্ছে ছিল বাংলা গান বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার। আমি জানি না কতটুকু পেরেছি।

Share This Article