পরিণত বয়সের যত আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২০, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
 বিবাহ বিচ্ছেদ
বিবাহ বিচ্ছেদ

বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে বিচ্ছেদের পরিসংখ্যানও ভারি হচ্ছে। তবে সাধারণত দেখা যায় অপরিণত বয়সে নানা খেয়ালিপনায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যায়। 

তবে একটা পরিণত বয়সে এসে সেরকমটা খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু, এবার সবাইকে চমকে দিয়ে ৬৫ বছর বয়সী বিল গেটস এবং ৫৬ বছর বয়সী মিলিন্ডা গেটস বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন।

 তাদের এমন অবাক করা কান্ড দেখেই পরিণত বয়সের কিছু আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।  চলুন জানি, দেশ-বিদেশের পরিণত বয়সের যত আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদ।

 

বিল ও মেলিন্ডা গেটস

মেলিন্ডা ১৯৮০ সালে বিল গেটসের মাইক্রোসফটে যোগ দেয়ার পর তাদের মধ্যে প্রথম পরিচয় হয়েছিল। এরপর প্রেম তারপর ১৯৯৪ সালে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিল ও মেলিন্ডা গেটস তাদের বিয়ের সাতাশ বছর পর এসে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, "জুটি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি এটা আমরা আর বিশ্বাস করি না।" এক টুইট বার্তায় তারা ঘোষণা দিয়েছেন, "আমাদের সম্পর্কটি নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা ও কাজের পর আমরা আমাদের বিয়ের সমাপ্তি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" লিওনেয়ার এই দম্পতির তিন সন্তান আছে। বিল ও মেলিন্ডা যৌথভাবে `বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন` পরিচালনা করেন।

জেফ বেজোস-ম্যাকেঞ্জি বেজোস

গেল ২০১৯ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও তার স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোস। ১৯৯৩ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। বিশ্বজুড়েই এই বিচ্ছেদ নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। কেন বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন এই ধনকুবের জুটি? টুইটারে আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা জানালেও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি বেজোস-ম্যাকেঞ্জি। তবে বাকিটা জীবন বন্ধু হয়ে থাকার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। বিচ্ছেদের সময় তাদের পরিবারে ছিল চার সন্তান।

আঞ্জেলিনা জোলি-ব্র্যাড পিট

একসময় হলিউডের সবচেয়ে সুখী জুটি বললেই চলে আসতো ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নাম। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু বিধি বাম! ১০ বছরের প্রেমের পর বিয়ে স্থায়ী হলো মাত্র ২ বছর! ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন `ব্র্যাঞ্জেলিনা`। এই দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে তিনজন ছিল দত্তক নেয়া। সন্তানদের অভিভাবকত্ব পেতে আদালতেও গিয়েছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে সমঝোতার মাধ্যমে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয় এই জুটির।

আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার-মারিয়া শ্রিভার

মাচো ম্যান আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সঙ্গে মারিয়া শ্রিভারের বিয়ে হয় ১৯৮৬ সালে। ২৫ বছর সংসারের পর ২০১১ সালে ডিভোর্সের আবেদন করে বসেন মারিয়া। কারণ হিসেবে তিনি শোয়ার্জনেগারের অবিশ্বস্ততাকে দায়ী করেন। ডিভোর্স আবেদন করার পর কেটে গেছে ১০ বছর। তবে এখনও এই দম্পতির আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি।

আলমগীর-খোশনুর

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আলমগীর প্রথমে বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুরকে। তাদের কন্যা সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। কিন্তু খোশনুরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটিয়ে সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন আলমগীর। এখন তাদের সুখের সংসার।

হুমায়ূন আহমেদ-গুলতেকিন

বিচ্ছেদের মাধ্যমে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিনের ৩০ বছরের সংসারের ইতি ঘটে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার পরে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী শাওনকে। তাদের বিয়ে মিডিয়ায় রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিলো।

হুমায়ুন ফরিদী-সুবর্ণা মুস্তাফা

অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী ও সুবর্না মুস্তাফা নাট্যমঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতেন। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ফরিদী তার প্রথম স্ত্রী মিনুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী সুর্বনা মুস্তফাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন। ২০০৮ সালে সুর্বনা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে। এর পরপরই বিয়ে করেন নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। সুর্বনার মুস্তফার চেয়ে ১৪ বছরের ছোট বদরুল আনাম সৌদ।

সুচরিতা-জসিম-কেএমআর মঞ্জুর

সুচরিতা প্রথমে বিয়ে করেন চিত্রনায়ক জসিমকে। তাদের মধ্যেও বিচ্ছেদ হয়। এরপর সুচরিতা বিয়ে করেন প্রযোজক কে এম আর মঞ্জুরকে। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছরের এ সংসারটিও টেকেনি। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী কেএমআর মঞ্জুরের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়।

বিষয়ঃ তারকা

Share This Article