সাজেক ভ্যালি-যেন বাংলার দার্জিলিং

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১১, বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

‘সাজেক’ নামটি একযুগ আগেও তেমন শোনেনি এদেশের মানুষ। অল্প সময়ের মধ্যে একটি স্থান পর্যটকদের এভাবে টানতে পারে, তা কল্পনাতীত। কেউ বলেন বাংলার দার্জিলিং, কেউ বলেন বাংলার শিলং। আবার অনেকের মতে, সঠিক পরিকল্পনায় বিন্যাসিত হলে সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাবে এই সাজেক।

ভোরের পূর্বাকাশে লালিমা ছড়িয়ে ওঠে আসে সূর্য। এরপর ক্ষণে ক্ষণে রং বদল করতে থাকে পাহাড়। যে পাহাড়গুলো ঢাকা পড়ে থাকে শীতের কুয়াশায়, সেগুলো দৃশ্যমান হয় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। প্রকৃতির এই রূপান্তর না দেখে কল্পনা করা কঠিন। আর সে জন্যই একটি বিকেলের পর একটি ভোর বড়ই প্রত্যাশিত।

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে হলে সেই সড়কে চলাচলকারী মাহিন্দ্র ফোর হুইল শক্তির গাড়িগুলোই উত্তম। পাহাড়ী পথে এগুলোই সবচেয়ে উপযোগী। একদিনে যাওয়া-আসার জন্য ভাড়া পড়বে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। আর পরদিন নিয়ে আসার চুক্তি থাকলে তা হতে পারে সাড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে দামাদামিতে কিছু কম-বেশি হতে পারে।

জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দৃষ্টিনন্দন একটি সড়ক বদলে দিয়েছে সাজেকের দৃশ্যপট। যে সাজেক ছিল অগোচরে, তা এখন দেশের জনপ্রিয় এক পর্যটন স্পট। সেখানে অনেকেই খুঁজে পেয়েছে জীবিকা। অথচ এই সড়ক নির্মাণের পথে ছিল অনেক প্রতিবন্ধকতা। পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে এসেছিল প্রবল বাধা। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর চ্যালেঞ্জিং এই সড়ক নির্মাণের কাজটি শেষ করার পর সেই বাধা প্রদানকারীরাই বরং বেশি উপকৃত হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাট ও নানা ধরনের পণ্যের পসরা। সেই বাধাদানকারীরাও স্বীকার করছেন, এতে তারা জীবিকার সন্ধান পেয়েছেনে।

‘সাজেক পেদা টিং টিং’ রেস্টুরেন্টের কর্মী উদয়ন তঞ্চঙ্গা জানান, এই সড়ক অনেকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। পর্যটক আসায় খাবার, হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রির জন্য অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। বেড়াতে আসা লোকজন তদের দোকানে খাওয়া-দাওয়া করেন। নামিদামি হোটেল রিসোর্টগুলোতে তারা খাবার সরবরাহ করা হয় তাদের রেস্টুরেন্ট থেকে। শীতকালে পর্যটক হয় সবচেয়ে বেশি আসে বলেও জানান তিনি।

Share This Article