বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে মাছ ধরা নৌকায় ডাকাতি করতো দস্যুরা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:১১, বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
র‌্যাব মিডিয়া
র‌্যাব মিডিয়া

বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি করতো দস্যুরা।

বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি করতো দস্যুরা। জেলেদের অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জ থেকে মুক্তিপণের টাকা আদায় করা হতো। এরপর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণের টাকা আদায়ের পর তা দস্যুদের মধ্যে ভাগ করে দিতো এ চক্রের সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন মৃধা (২৮)।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইলিয়াস হোসেন মৃধাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে অপহরণের পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা থেকে জেলেরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যায়। এরপর ২০ নভেম্বর রাতে বলেশ্বর ও পায়রা মোহনা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ৩০-৫০ কিলোমিটার ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন জেলে অপহৃত হন। এ সময় নৌকার মাঝি ও কয়েকজন জেলেকে মোবাইলসহ অপহরণ করে দস্যুরা। তারা অপহৃত জেলেদের কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে এবং তাদের একটি নৌকা রেখে দেয়। যা দিয়ে পরবর্তীতে তারা ডাকাতির কাজ চালায়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, এই ঘটনার পর জেলেদের উদ্ধার ও দস্যুদের আটকে কাজ শুরু করে র‌্যাব। র‌্যাব-৮ এর একটি দল বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে ও সমুদ্রের নিকটবর্তী ঢালচর, সোনার চর ও চর মন্তাজসহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। একইসঙ্গে হেলিকপ্টারেও টহল দেয়। দস্যুরা র‌্যাবের গতিবিধি ও তৎপরতা আঁচ করতে পেরে ২৩ নভেম্বর অপহৃত জেলেদের নৌকায় রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়।

মোবাইল ব্যাংকিং ট্রান্সফারের মাধ্যমে মুক্তিপণের অর্থের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র‌্যাব। র‌্যাবের গোয়েন্দারা নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জায়গায় এ সংক্রান্ত ‘ফুটপ্রিন্ট’ শনাক্ত করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গত রাতে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমায় জেলেদের নৌকায় ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ইলিয়াস হোসেন মৃধাকে মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় মুক্তিপণের পাঁচ লক্ষাধিক টাকা।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইলিয়াস জানিয়েছে, সে সংঘবদ্ধ জলদস্যু দলের সদস্য। ইলিয়াস দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জে বসবাস করলেও তার বাড়ি পটুয়াখালীতে। এই দস্যু দলে ১৫-১৭ জন সদস্য রয়েছে। দলের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মূলত ডাকাতির কাজ করে। আর মুক্তিপণ সংগ্রহে ২-৩ জন কাজ করে। ইলিয়াসের দায়িত্ব ছিল অপহরণদের মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহ ও বণ্টন করা। আর মুক্তিপণের টাকা পেতে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের কাছে ভুয়া মোবাইল নম্বর দিতো। আবার অনেক সময় ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করতেন। প্রতিটি ডাকাতির পর ইলিয়াস ও তার সহযোগীরা ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতো এবং মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতো। তারপর কাজ শেষে ওই এলাকা ত্যাগ করতো।

Share This Article


ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীতে দলনেতাসহ 'কিশোর গ্যাং'র ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার

স্ত্রীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের রহস্যজনক মৃত্যু

জবিতে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণের সময় ঢাবি শিক্ষার্থী আটক

খাগড়াছড়িতে বাইক থামিয়ে আরোহীকে গুলি

রোহিঙ্গা থেকে বাংলাদেশি হতে খরচ ত্রিশ হাজার টাকা

বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ মোহাম্মদপুরের ৩৯ কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেপ্তার

ফেসবুকে নারী সেজে প্রতারণার অভিযোগে যুবক আটক

‘দুবাইয়ের পণ্য’ তৈরি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জে, বিক্রি সারাদেশে

অপহরণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের হলেও গ্রেফতারে পিছপা হয়নি প্রশাসন

চায়ের দোকানে ২ ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা