গলাকাটা লাশের রহস্য উদঘাটন করল সিআইডি

শেরপুরের নকলায় রাস্তার পাশে গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মুনছুর আলী (৪০), মো. আশিক মিয়া (২৫) ও মো. আমির হোসেন (৩৫)।
তিনি জানান, গত ১২ ডিসেম্বর (রোববার) শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীরপাড়ের কাচাঁরাস্তার উপর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায় যে, নিহতের নাম মুনছুর আলী ফকির (৩৬)। সে বিভিন্ন যানবাহনে হেলপারের কাজ করতো।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার নকলা থানার মামলা দায়ের করেন বলে জানান মুক্তা ধর।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। হত্যার ঘটনাটি কেন এবং কিভাবে সংগঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কারও সঙ্গে পারিবারিক/ব্যবসায়িক পূর্ব কোন বিরোধ ছিল কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস হতে সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে, মো. মুনছুর আলী (৪০), মো. আশিক মিয়া (২৫) ও মো. আমির হোসেন (৩৫) এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পরবর্তী সময়ে এলআইসির একাধিক চৌকস টিম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিন আসামিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায় যে, নিহত মুনছুর গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মুনছুরকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।