ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগররা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৬, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

ব্যাটিং ধস থেকে পরিত্রাণ চেয়েছিলেন টাইগার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

 অথচ ঢাকা টেস্টে তার শিষ্যরা ব্যাটিং বিপর্যয়ের অ্যাকশন রিপ্লে দেখালেন। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে হারালেন ৪ উইকেট। লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস থেকে ১০৭ রানে পিছিয়ে থাকায় শেষ দিন মুমিনুলদের জন্য লজ্জা অপেক্ষা করছে। 

চট্টগ্রাম টেস্টে ড্র’র পর ঢাকা টেস্টে জয়ের প্রত্যাশা দেখিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। টসও এসেছিল পক্ষে। কিন্তু টপ অর্ডারের খামখেয়ালিতে ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তামিম-মুমিনুল-সাকিব শট খেলতে গিয়ে ডাক মেরে ফিরে যান। রান পাননি শান্ত-জয়। তবে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস ষষ্ঠ উইকেটে ২৭২ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। তাদের ব্যাটে ভর করে ৩৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। 

লিটন দাস ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফিরে যান ১৪১ রান করে। মুশফিকুর রহিম ১৭৫ রান করেন। মিরপুরের উইকেট বিবেচনায় রানটা ভালোই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বোলাররা সেটা প্রমাণ করতে পারেননি। স্পিনার সাকিব আল হাসান ও পেসার এবাদত হোসেন ছাড়া কেউ ভালো বোলিং করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস থেকে তুলে নেয় ৫০৬ রান। লিড পায় ১৪১ রানের। 
 

শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৪৫ রানের হার না মানা ইনিংন খেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। চট্টগ্রামের পরে ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরি পাওয়ায় তৃতীয়বার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির স্বাদ পান। তার সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন দিনেশ চান্দিমাল। তিনি খেলেন ১২৪ রানের ইনিংস। এছাড়া ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ৮০ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৮ রান করেন। 

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ফিরে যান তামিম। এবারও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ডাক মারেন তিনি। তিনে নামা শান্ত রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাত্র দুই রান করে। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ডাকের পেয়ারের স্বাদ পান। প্রথম ইনিংসে ডাক মারা ওপেনার জয় করেন ১৫ রান। পরের চার ওভার পার করেন মুশফিক (১৪)ও লিটন (১)।   
 

শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেন পেসার কাসুন রাজিথা। এছাড়া অন্য পেসার অসিথা ফার্নান্দো তুলে নেন চার উইকেট। বাংলাদেশের এক ব্যাটার রান আউট হন। শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেকে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। চার বছর পর টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। ১৯বার ফাইফারের স্বাদ পেলেন। পেসার এবাদত নেন চার উইকেট। লঙ্কানদের এক ব্যাটার রান আউট হন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে তিন উইকেট নিয়েছেন রাজিথা-ফার্নান্দো।

Share This Article