পল্লবীর মৃত্যু: অভিনেত্রীর প্রেমিক গ্রেপ্তার

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২২, মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯

ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যু মামলায় তার প্রেমিক ও লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পল্লবীর বাবা নীলু দে পুলিশে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এফআইআরে তিনি সাগ্নিক, তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। এরপর সাগ্নিককে রাতভর জেরা করা হয়। 

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরফা থানায় জেরার সময় হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনার। বস্তুত, তার সামনেই সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলে।

পল্লবীর বাবার দাবি ছিল, অন্য এক তরুণী ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তার মেয়েকে খুন করেছেন সাগ্নিক। 

মৃত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর উপার্জিত অর্থও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সাগ্নিক। সোমবার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগেও সাগ্নিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গীকে গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করে পুলিশ। চাওয়া হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্যও। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে জানা গেছে পল্লবী ও সাগ্নিক কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন। সোমবার গভীর রাতের জেরায় সেই সম্পর্কে সাগ্নিকের কাছে বিশদ তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া আরও একাধিক আর্থিক লেনদেন নিয়েও পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে হয় সাগ্নিককে। নতুন কোনো সম্পত্তি কেনা নিয়ে কি তাদের মধ্যে বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, না কি পল্লবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ, তারই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে গরফার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পল্লবীর দেহ। তার গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। মেয়ে যে এই ভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না পল্লবীর বাবা নীলু। তার দাবি, পল্লবী যে এমন পদক্ষেপ করতে পারেন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পরিবারের কেউই। এর পরই সোমবার বিকেলে পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক, তার এক বান্ধবীসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গরফা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।

হাওড়ার রামরাজাতলায় জিআইপি কলোনি স্টেশন রোডে দুজনের বাড়ি কাছাকাছি। ছেলেবেলা থেকেই পল্লবী-সাগ্নিক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারপর প্রেম। দুজনের পরিবারও পরস্পরকে চেনে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সাগ্নিক দাবি করেছেন, তার আগের সম্পর্ক এবং পল্লবীর প্রাক্তন সম্পর্কে তারা পরস্পর অবহিত ছিলেন।

সম্পর্কের টানাপড়েন যে এই ঘটনার পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারে, তা নিয়ে অভিযোগ করেছে পল্লবীর পরিবার। সঙ্গে অভিযোগ উঠছে সাগ্নিকের জীবনচর্চা নিয়েও।

‘মন মানে না’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছিলেন পল্লবী দে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি শুটিং করেছেন। পল্লবী ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে সিরাজের স্ত্রী লুৎফার চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রের জন্য জনপ্রিয়তা পান তিনি।  এর আগে ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায়। 

বিষয়ঃ তারকা

Share This Article