হঠকারিতার শিকার আকরাম খান

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৪০, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

স্পোর্টস ডেস্ক : আকরাম খান টি২০ বিশ্বকাপের আগেও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সক্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতা কোচিং স্টাফের মতো কেড়ে নেয়া হয় আকরামের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও। কার্যালয়ে নিজস্ব কাজ শেষে নীরবে বেরিয়ে যান তিনি। তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না প্রেসের সামনেও।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলে জাতীয় দল দেশে ফেরার কয়েকদিন পর দুবাই থেকে ঢাকার বিমান ধরেন আকরাম। তিনি দেশে পৌঁছানোর আগেই পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো হয়ে যায়। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে অনুশীলনেও নেমে পড়ে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

জাতীয় দলে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্তেও ছিল না ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের অংশগ্রহণ। মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাবের বিষয়েও জানা ছিল না তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের দল গড়া, কোচিং স্টাফের রোল ঠিক করেছিলেন তৃতীয় কেউ। সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জেনেছেন বলে অভিযোগ। নিউজিল্যান্ড সফর নিয়েও নিষ্ক্রিয় তিনি।

ক্রিকেট সংগঠকরা এক্ষেত্রে আকরামেরও ব্যর্থতা দেখেন। তারা মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বললে ব্যাকফুটে যেতে হতো না ক্রিকেট অপারেশনের চেয়ারম্যানকে।

পাকিস্তান সিরিজের ভরাডুবির পর নিউজিল্যান্ড সফর করছে টেস্ট দল। কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ক্ষমতা দখলের লড়াই কতদিন চলবে। বাংলাদেশ সিরিজ জিতে গেলে ক্ষমতার পালা বদল হতে পারে। হোয়াইটওয়াশ হলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ফিরে পেতে পারেন আকরাম। কারণ বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্টকে তিন মাস সময় দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

Share This Article