‘ঈদের পরে আন্দোলনের এমন দিনক্ষণ বিএনপি আগেও দিয়েছে’

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৩, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ১৩ বৈশাখ ১৪২৮
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যেভাবে ঢাকা শহরে ২ কোটি মানুষের মধ্যে দুইশ মানুষের বিক্ষোভ করে- এতেই বোঝা যায় তারা আসলে কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

 

কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাহফুজুল হক, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সেবিকা রাণী প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা চাই সরকারের যদি ভুলত্রুটি থাকে, সেগুলো বিএনপি তুলে ধরুক। তাদের আন্দোলন শুধুমাত্র তারেক রহমানের শাস্তি আর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এটিই আমাদের কামনা। তারা জনগণের বিষয় নিয়ে কথা বলবে, সরকারের ভুলত্রুটি থাকলে সেগুলো তুলে ধরবে, সেটিই আমরা চাই। ’

‘এই ঈদের পরে, আগামী ঈদের পরে- আন্দোলনের এ রকম দিনক্ষণ তারা আগেও দিয়েছে। এর জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বিএনপি আসলে আন্দোলন করতে পারবে কি না। তারা যেভাবে ঢাকা শহরে ২ কোটি মানুষের মধ্যে দুইশ মানুষের বিক্ষোভ করে, এতেই বোঝা যায় বিএনপি আসলে কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে।’

এ সময় নিউমার্কেটের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেই ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় নেতারা যে ঘি ঢেলেছে, পুলিশের কাছে সেই তথ্য আছে। যে দুই দোকান কর্মচারীর মধ্যে বচসা, সেই দুই দোকানের মালিক কিন্তু বিএনপি নেতা। সুতরাং এই বচসা ঘটানোর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে কি না- সেটি তো অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। তবে নিউমার্কেটের ঘটনায় যারাই যুক্ত, তারা যে দলের বা যে মতেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ইংরেজি পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা হালনাগাদ করে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলা পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা খুব সহসা করে দেব। অনেক পত্রিকা যেগুলো আসলে ঠিকভাবে প্রকাশিত হয় না, সেগুলোর বিপুল প্রচার সংখ্যা দেখানো হয়েছে, এসব অসঙ্গতি দূর করে আমরা এগুলো ঠিক করছি।

মন্ত্রী জানান, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অষ্টম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করে নাই তাদেরকে আমরা সরকারের কোনো ক্রোড়পত্র দেব না এবং ভবিষ্যতে নবম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবে না, সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি নিয়েও ভাবছি।’

এর আগে সাংবাদিক সহায়তা চেক বিতরণ পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এই কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে এবং আজকে এই ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার জায়গা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট অত্যন্ত সুচারু এবং স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্ট পরিচালনার সঙ্গে সাংবাদিক নেতারা যুক্ত আছেন, যা উপকারভোগী নির্বাচনে সহায়ক হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রাস্টের আওতায় অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সহায়তা নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের পর থেকে আজকের এই আয়োজনসহ মোট ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ৮ হাজার ১৫৬ জন সাংবাদিক ও তার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১২ সাল থেকে সাংবাদিক সহায়তা নীতির আওতায় ট্রাস্ট গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ৬২৩ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর করোনা সাহায্যের ১০ কোটি টাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকা দেশব্যাপী সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী এরপর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন এবং বাসসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন। পর্ষদের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও পরিচালকদের মধ্যে বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম মাহফুজুল হক, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক হারুন আল রশিদ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবীর, বাসসের নগর সম্পাদক মধু সূদন মন্ডল সভায় অংশ নেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বিশেষ বার্তা নিয়ে আসবেন বলে জানান ড. মোমেন।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বিশেষ বার্তাটি কী জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একটি বিশেষ বার্তা দেবেন এবং ভারতীয় পত্র-পত্রিকা বলছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে আসছেন।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার হয়তো তারিখসহ আমন্ত্রণ দেওয়া হবে।’

সফরের সময় জয়শঙ্কর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

জয়শংকরের সঙ্গে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অন্যান্য বিষয়, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য বিষয়ক বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে।’

Share This Article


বিএনপি কোটা ইস্যুকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে চায়: কাদের

কোটা ইস্যুতে কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেবে না ছাত্রলীগ

আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে কোনো গোষ্ঠী: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির খায়েশ পূরণ হতে দেবে না আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

আন্দোলনের নামে ‘শিক্ষাব্যবস্থাকে জিম্মি’ করলে রুখে দেওয়ার ঘোষণা ছাত্রলীগের

তাদের অর্থমন্ত্রী বার বার প্যারিস গেছেন, আ.লীগের অর্থমন্ত্রী যাননি: ওবায়দুল কাদের

'ফলস হোপ' ও আওয়ামী লীগ সরকারের সক্ষমতার অবমূল্যায়ন বিএনপিকে ব্যর্থ করেছে

আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: বিএনপিকে কাদের

যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

‘যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, শেখ হাসিনার নাম উচ্চারিত হবে’

কোটা আন্দোলনে যোগ দিতে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ