মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইমিগ্রেশন পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে অবশেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তাকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটটি রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ঢাকায় নামার পরপরই মুরাদকে প্রথমে ইমিগ্রেশন অফিসে নেওয়া হয়। এরপর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার রাতে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন মুরাদ হাসান। কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকায় ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে না দিয়ে দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেওয়া হয়। তবে সেখানেও তিনি ঢুকতে না পেরে অবশেষে রবিবার ঢাকায় ফেরেন তিনি।
এর আগে রবিবার সকালে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও দুবাই থেকে ঢাকা ফেরেননি সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ঢাকায় ফেরার টিকিট কাটা ছিল তার। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি দুবাইয়েই রয়ে যান। জানা যায়, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ফেরার কথা ছিল।
সম্প্রতি নানা টকশো ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। রবিবার রাতে তার সঙ্গে এক চিত্রনায়িকার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়, যেখানে সমালোচনা-বিতর্কে ঝড় আরও তীব্র হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। যেখানে কথা বলেছেন ডা. মুরাদ হাসান। অন্যপ্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকিও দেন ডা. মুরাদ। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ও।