বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:২৯, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশের পক্ষে বৃহস্প‌তিবার রা‌তে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন। এসময় বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান রাবাব ফাতিমা।

 

রেজুলেশনটি উত্থাপনকালে বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “এ বছর রেজুলেশনটি আরো বেশি প্রাসঙ্গিক ও জরুরি। কারণ বিশ্বব্যাপী আমরা কভিড-১৯ মহামারির নজীরবিহীন ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলেছি।”

১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি ফোরামের আয়োজন করে আসছে। এবছর ৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। কভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমসমূহে সকলের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি আরো এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতি যে রূপান্তরধর্মী ভূমিকা পালন করতে পারে তা তুলে ধরা হয় ফোরামটিতে।

এই বছর রেজুলেশনটিতে করোনাকালীন বাস্তবতাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে আয়, সুযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ভ্যাকসিনের নতুন চ্যালেঞ্জসমূহের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যসমূহ। এছাড়া করোনার সময়ে লিঙ্গ বৈষম্য ব্যাপকতর হয়েছে; ঘৃণ্য বক্তব্য, কালিমা লেপন, বর্ণবাদ ও জাতিগত বিদ্বেষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে রেজুলেশনটিতে। সহনশীলতা, বৈষম্য বিলোপ, বহুত্ববাদ, মত প্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতাসহ ঘৃণ্য বক্তব্য মোকাবেলা করার মতো বিষয়গুলো আরো এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এটিতে। প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই কভিড পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় রাষ্ট্রসমূহ যাতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি কাজে লাগায় সে আহ্বানও জানানো হয়েছে এবারের রেজুলেশনে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেজুলেশনটির প্রাসঙ্গিকতা বহুগুণে বেড়েছে, এর ফলে জাতিসংঘের প্রধান প্রধান কার্যাবলীতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি বৃহত্তর পদচিহ্ন রাখতে পেরেছে এবং একটি প্রভাব সৃষ্টিকারী রেজুলেশনে পরিণত হতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে এটি একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত যা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘ সনদের দায়বদ্ধতার পরিপূরক হিসেবেও ভূমিকা রেখে চলেছে।”

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article

শীঘ্রই মূল্যস্ফীতি কমবে, বাড়বে জিডিপি!

কমিউনিটি ক্লিনিক: শেখ হাসিনার প্রশংসায় বিশ্বনেতারা

বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জাতিসংঘে শেখ হাসিনার পাঁচ প্রস্তাব

জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত সাইডলাইন কনফারেন্সে প্রশংসিত বাংলাদেশ

ভিসানীতি কার্যকরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সহিংসতা কমানো: ডোনাল্ড লু

জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা জনগণ হতাশায় ভুগছে: ওআইসিকে মোমেন

ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই সম্পন্ন হলো থার্ড টার্মিনাল

ডেঙ্গু চিকিৎসায় ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন


বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান বাইডেন

নির্বাচনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বিজিবি: মহাপরিচালক

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়াল

২২ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা

তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সচেতন করতে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

পণ্য নিয়ে ঢাকা ছাড়লো প্রথম লাগেজ ভ্যান

গ্যাটকো মামলায় খালেদাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৩ অক্টোবর

ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে, তা জানি না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইইউকে চিঠির জবাব দিয়েছেন সিইসি

মার্কিন ভিসানীতি পুলিশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না : ডিএমপি মুখপাত্র

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয়, আল-জাজিরাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী