চলচ্চিত্র শিল্পের ঐতিহ্য ফেরাতে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ!

চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য এক হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনায় হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও তা বৃদ্ধি করে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
এতে ৫ শতাংশ সুদহারে বিভাগীয় অঞ্চল এবং এর বাইরের এলাকার জন্য সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছিলো। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে আট বছর পর্যন্ত। প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে ছাড় মিলবে (গ্রেস পিরিয়ড)।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে প্রকাশিত সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ এবং বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এই স্কীমের আওতায় সর্বোচ্চ ১০(দশ) কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। একই ভবনে একটি কোম্পানী বা ব্যক্তি মালিকানাধীন সিনেপ্লেক্স যতসংখ্যক স্ক্রিনবিশিষ্ট হোক না কেন তা একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে। এরূপ নতুন একটি ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০(দশ) কোটি টাকা এবং সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স এর আসন সংখ্যা ন্যূনতম ১০০(একশত) হতে হবে। ভাড়াকৃত বা ইজারাকৃত স্থাপনায় বিদ্যমান বা নির্মিতব্য সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্স এর মালিকপক্ষের সাথে ভবন মালিকের ভাড়া বা ইজারা চুক্তির মেয়াদ প্রদেয় ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ৫(পাঁচ) বছর বেশি হতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা নির্দেশনাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের বলা হয়েছে।