রাওয়াতকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শুক্রবার শেষকৃত্য হবে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের। সেদিনই দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে জেনারেল রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকার।
গত বুধবার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে ভারতের বিমান বাহিনী এক টুইটবার্তায় জানিয়েছিল, তামিলনাড়ুর কুনুর এলাকার গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে সামরিক চপার হেলিকপ্টার এমআই-১৭ ভি ৫।
সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী এবং ভারতীয় সেনা আরও ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা সে সময় ছিলেন হেলিপ্টারটিতে।
বিপিন রাওয়াতসহ ১৪ সামরিক কর্মকর্তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যা প্রকাশ করেছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই। বিধ্বস্তের একদিন পর এই ভিডিওটি সামনে আসলো।
টুইটারে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বিপিন রাওয়াতসহ ১৪ সামরিক কর্মকর্তাকে বহনকারী ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমআই-১৭ ভি ফাইভ মডেলের ওই হেলিকপ্টারটি তামিলনাড়ুর কোয়েন্বাটোর এবং সুলুরের মধ্যে অবস্থিত নীলগিরি পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় উড়ে যাচ্ছে। এর কিছু পরেই সেটি ঘন কুয়াশার মধ্যে মিলিয়ে যায়।
গতকালের এই দুর্ঘটনায় বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে তার স্ত্রীসহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারে ছিলেনই ১৪ জন, একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে প্রাণে বেঁচেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ।
কপ্টার ক্র্যাশের বিস্তারিত বর্ণনা প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লি থেকে খুব সকালের একটি ফ্লাইট ধরে তামিলনাড়ুর সুলুরে পৌঁছান জেনারেল ও তার স্ত্রী। সেখান থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে যাচ্ছিলেন বিপিন রাওয়াত। মোট ১৪ জন ছিল কপ্টারে।
নামার জায়গা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে থাকতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। তখন ঘড়িতে ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ২০। কুয়াশা থাকায় একদম নিচু দিয়ে উড়ছিল কপ্টারটি। হঠাৎই গাছপালাপূর্ণ একটি উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয় এটি। মাটিতে পড়ার আগেই কপ্টারের সব জায়গায় আগুন ছড়িয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা থেকে একমাত্র যাত্রী হিসেবে প্রাণে বেঁচেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, বেঁচে যাওয়া গ্রুপ ক্যাপ্টেনের অবস্থা গুরুতর, কিন্তু স্থিতিশীল। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনায় গোটা ভারতে শোকের ছায়া নেমে আসে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও বিরোধী দলের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।