যে কারণে প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৩৪, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
 প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা
প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোল্লাহাটের অনৈতিক কাজের অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

তবে বুধবার সন্ধ্যায় নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে। ঘটনার পর থেকে লোকলজ্জায় গা ঢাকা দিয়েছেন ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এ ঘটনা জানার পর বুধবার দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারীর এক প্রতিবেশী বলেন, সকাল বেলা চুনখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য কাউছার চৌধুরীসহ বেশ কিছু লোক এসে প্রবাসীর স্ত্রীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। তাকে গালাগালিসহ মারধরও করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মুঠোফোনে এই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে।

এই বিষয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার বা তার পরিবারের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ইউপি সদস্য কাওসার চৌধুরী বলেন, ওই নারীর একাধিক মানুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সোমবার রাতে তার প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা এক লোকের সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে আমি ওই এলাকায় যাই। এলাকাবাসীই ওই নারীকে পিটিয়েছে। আমি পিটাইনি।

মোল্লাহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার এসেছিলেন। আমাকে এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করে গেছেন। ভিডিওতে তো আপনাকেই ওই নারীকে পেটাতে দেখা যায় এমন প্রশ্নে ইউপি সদস্য কাউছার চৌধুরী বলেন, আমি পিটাইনি। স্থানীয়রা পিটিয়েছেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমরা ওই নারীকে খুঁজে পাইনি।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমরা এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিন্দ্য মন্ডলকে একাধিকবার ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article