নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া দিবস আজ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:২৪, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
বেগম রোকেয়া
বেগম রোকেয়া

আজ নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস। এই দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। একই সাথে দিবসটি উদযাপনের লক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

রোকেয়া দিবস উপলক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার ও বুকলেট। করোনা মহামারির এ সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এবার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দেশের পাঁচজন নারী পাচ্ছেন রোকেয়া পদক।



বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনো নিয়ম ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দূ, বাংলা, আরবী ও ফারসি পড়তে এবং লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরবর্তীতে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বরে মারা যান। বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী। এই দিবসটি সরকারিভাবে পালিত একটি জাতীয় দিবস।

বাণীতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বেগম রোকেয়া তার শাণিত অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে, সমাজে নারীর অধস্তন অবস্থা নারী উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। তাই তার চিন্তা-ভাবনা-উদ্বেগ সর্বক্ষণ আবর্তিত ছিল নারী জাগরণ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে। নারীকে অবরোধবাসিনী করে বিকলাঙ্গ করার প্রথা উচ্ছেদসহ নারী মুক্তি, নারীর অগ্রযাত্রা ও নারী শিক্ষা প্রবর্তনে তার ত্যাগী ভ‚মিকা তাকে মহীয়সী করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, বেগম রোকেয়া উপলব্ধি করেছিলেন সমাজ তথা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তার এ উপলব্ধি ও আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার বেগম রোকেয়া পদক-২০২১ প্রাপ্তরা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে রোকেয়া পদক সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন। মনোনীতরা হলেন, নারী শিক্ষায় অবদানের ক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলার প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যশোর জেলার অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরোণোত্তর), পল্লী উন্নয়নে অবদান রাখায় মনোনীত হয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় মনোনীত হয়েছেন। তার নিজ জেলা মুন্সিগঞ্জ। 

Share This Article


হাতিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৬০টি নির্মিত ঘর হস্তান্তর

বিএনপি চায় না বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক: নিখিল

পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন চীনা ভাইস মিনিস্টার

ঢাকা-বেইজিং বৈঠক আজ

আওয়ামী লীগ মসজিদ মাদরাসার সর্বোচ্চ উন্নয়ন করেছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

গাজীপুরে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে: কাদের

প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা, শুরু প্রচার-প্রচারণা

ভিসানীতি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

'গাজীপুর সিটির ভোট নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট ইসি'

উদ্ভাবনী নানা প্রযুক্তিই পারে দেশকে উন্নত করতে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বিরোধী দলের ওপরও বর্তাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেটে ৫ মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল