এবারের প্যান্ডোরা পেপারসে ৮ বাংলাদেশি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪১, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

অনলাইন ডেস্ক: অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস বা আইসিআইজে এবার আলোচিত প্যান্ডোরা পেপারসের দ্বিতীয় ধাপের তালিকা প্রকাশ করেছে। গত সোমবার রাতে প্রকাশিত এ নথিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক।

এবারের তালিকায় বিশ্বের মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। করস্বর্গ হিসাবে পরিচিত বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের অফশোর কোম্পানিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অর্থ ও গোপন লেনদেনের তথ্য ফাঁস করা হয়েছে প্যান্ডোরা পেপারসের নথিতে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর ফাঁস করা হয় প্যান্ডোরা পেপারসের প্রথম ধাপের নথি।

দ্বিতীয় ধাপের প্যান্ডোরা পেপারসে নাম আসা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা হলেন নিহাদ কবির, সাইদুল হুদা চৌধুরী, ইসলাম মঞ্জুরুল, মোহাম্মদ ভাই, সাকিনা মিরালী, অনিতা রানী ভৌমিক, ওয়াল্টার পোলাক ও ডেনিয়েল আর্নেস্তো আইউবাত্তি। এই বাংলাদেশিদের সবারই অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব আছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ রয়েছে।

এদের মধ্যে নথিপত্রে নিহাদ কবিরের বাংলাদেশে ঠিকানা হিসাবে দেখানো হয়েছে ঢাকার ইন্দিরা রোডের একটি বাড়িকে। তালিকায় নাম আসা অন্যদের মধ্যে ইসলাম মঞ্জুরুল, সাইদুল হুদা চৌধুরী, সাকিনা মিরালী ও মোহাম্মদ ভাই গুলশানের এবং অনিতা রানী চকবাজারের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। আর ডেনিয়েল আর্নেস্তো আর্জেন্টিনার পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং ওয়াল্টার রাশিয়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।

নাম প্রকাশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মঞ্জুরুল ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রি কেমিক্যাল কোম্পানি, সাইদুল বেবেন ইন্টারন্যাশনাল ইনক, অনিতা আনটেরিস হোল্ডিংস লিমিটেড, সাকিনা মুনরেকার সার্ভিসেস করপোরেশন, মোহাম্মদ ভাই ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেড, ওয়াল্টার পোলাক ফ্লিন্ট এন্টারপ্রাইজেস এসএ এবং ডেনিয়েল আর্নেস্তো কুডেল লিমিটেড নামের কোম্পানির মালিক। এই সব কোম্পানি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে নিবন্ধিত।

প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁসের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তির অর্থ পাচার, কর ফাঁকি ও গুপ্ত সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে। ১১৭টি দেশের ৬ শতাধিক সাংবাদিক কয়েক মাস ধরে ১৪টি উৎস থেকে নথিগুলো সংগ্রহ করেছেন।

নথি ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, প্যান্ডোরা পেপারসে নাম এলেই কেউ বেআইনি কাজে জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না। প্যান্ডোরা পেপারস প্রকাশের পর গত অক্টোবরে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভিনদেশে অর্থ ও সম্পদ রাখতে চাওয়ার পেছনে কিছু বৈধ কারণও রয়েছে। এসব কারণের মধ্যে আছে অপরাধীদের আক্রমণ কিংবা অস্থিতিশীল সরকার থেকে সুরক্ষা। গোপনে অফশোর কোম্পানির মালিকানা থাকা অবৈধ কিছু না হলেও অর্থ ও সম্পদ সরিয়ে নেওয়ার কাজে এ ধরনের গোপন কোম্পানির ব্যবহার ভালো কিছু নয়; বরং তা অপরাধের প্রক্রিয়া গোপন রাখার একটি যথাযথ উপায়।

Share This Article

শীঘ্রই মূল্যস্ফীতি কমবে, বাড়বে জিডিপি!

কমিউনিটি ক্লিনিক: শেখ হাসিনার প্রশংসায় বিশ্বনেতারা

বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জাতিসংঘে শেখ হাসিনার পাঁচ প্রস্তাব

জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত সাইডলাইন কনফারেন্সে প্রশংসিত বাংলাদেশ

ভিসানীতি কার্যকরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সহিংসতা কমানো: ডোনাল্ড লু

জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা জনগণ হতাশায় ভুগছে: ওআইসিকে মোমেন

ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই সম্পন্ন হলো থার্ড টার্মিনাল

ডেঙ্গু চিকিৎসায় ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন


বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান বাইডেন

নির্বাচনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বিজিবি: মহাপরিচালক

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়াল

২২ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা

তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সচেতন করতে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

পণ্য নিয়ে ঢাকা ছাড়লো প্রথম লাগেজ ভ্যান

গ্যাটকো মামলায় খালেদাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৩ অক্টোবর

ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে, তা জানি না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইইউকে চিঠির জবাব দিয়েছেন সিইসি

মার্কিন ভিসানীতি পুলিশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না : ডিএমপি মুখপাত্র

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয়, আল-জাজিরাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী