পোশাক রপ্তানি আয় : চার লাখ টাকার ব্যবসা বেড়ে লাখো কোটির ঘরে !

স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৬০ সালে ছোট্ট একটি দর্জির কারখানা থেকে যাত্রা শুরু হয় রিয়াজ গার্মেন্টসের। বলা চলে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশের মাটিতে প্রথম পোশাক রপ্তানি শুরু করেছিল তারাই। সেসময় ফ্রান্সে চার লাখ টাকার পোশাক রফতানি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
তবে আশার কথা হচ্ছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে পোশাকে বাংলাদেশের এই রপ্তানির পরিমাণ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। টাকায় যার পরিমাণ ২ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
১৯৬০ সালে মাত্র চারটি পোশাক কারখানা থেকে সূচনা হলেও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এখন পোশাক রফতানি করছে ৯ হাজার ৪৬৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, ষাটের দশকে দেশের গার্মেন্টস শিল্পে ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হলেও বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর তাদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে সব পোশাক কারখানা। ইতোমধ্যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি কারখানা।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সবুজ পোশাক কারখানা বা গ্রীন গার্মেন্টেসে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বর্তমানে দেশে ১৫০ টি সবুজ পোশাক কারখানা রয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। সবুজায়ন উদ্যোগে ভূমিকা রাখার জন্য গত জুনে এলইইডি স্বীকৃতি পায় বিজিএমইএ।
এছাড়াও, বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার মধ্যে নয়টির মালিকও বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, শীর্ষ ১০০ গ্লোবাল প্লাটিনাম কারখানার মধ্যে ৩৯ টি রয়েছে বাংলাদেশে। এর আগে ২০১২ সালের মে মাসে বাংলাদেশের ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও বিশ্বের প্রথম এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফায়েড কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চীনের পর বাংলাদেশ বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। মহামারীর মধ্যেও গার্মেন্টস খাতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ক্রয়াদেশ অব্যাহত থাকায় পোশাক রফতানিতে বিশ্বে প্রথম হওয়ার পথে রয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।