‘এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স’ : সহজেই বিদেশে যাবে সিলেটের রপ্তানি পণ্য !
সিলেটের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানী করতে এখন থেকে আর ঢাকায় আনতে হবে না। সিলেট থেকেই সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। নবনির্মিত ওসমানী বিমানবন্দরে বিশাল ‘এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স’ টার্মিনাল নির্মাণের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে এখন যে কোনো পণ্য স্বল্পমূল্যে সহজেই বিদেশ নেয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের শাকসবজি, আনারস, লেবুজাতীয় ফল, পান, ফ্রোজেন ফিশ, নানাজাতের সুগন্ধি চাল, বেতের আসবাবপত্র, নকশিকাঁথা এবং কুঠির শিল্পের বিশাল বাজার রয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের বিশাল অংশ সিলেটের অধিবাসী হওয়ায় সেখানকার বাজারে সিলেটের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগাতেই হচ্ছে এতো আয়োজন।
জানা গেছে, এই কার্গো কমপ্লেক্সের ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০ টন। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্সের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ ডেডিকেশন সিস্টেম স্ক্যানার মেশিনও স্থাপন করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে টার্মিনালের পুরো কাজ শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলেও জানায় তারা।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপকের মতে, কার্গো কমপ্লেক্স ও আনুষঙ্গিক সব কাজ সম্পন্নের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসবে। তাদের অনুমতি পেলেই পণ্যরপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, বোডিং ব্রিজের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সুপরিসর এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এখানে রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।