সড়ক নৈরাজ্য চালাচ্ছে মালিক-শ্রমিকরা: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৭, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও অনেক বাস অর্ধেক ভাড়া নেয় না। এমনকি রাজধানীর অনেক বাসে শিক্ষার্থীদের ওঠানোই হয় না। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বাস থেকে নামার সময় শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

সড়ক পরিবহণের নৈরাজ্য নিয়ে শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব অভিযোগ জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিবহণ খাতের বর্তমান নেতৃত্ব ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে সরকারের কাছ থেকে নানাভাবে ফায়দা লুটছে। তারা রাজধানীর বাসে বারবার ঘোষণা দিয়েও সিটিং সার্ভিসের ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ না করে, এসব গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য পরিবহণ মালিক-শ্রমিকের নেতৃত্বে পরিবর্তন জরুরি।

মহাসচিব বলেন, নিরাপদ সড়কের সব উদ্যোগ আটকে যাচ্ছে প্রভাবশালী পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের চাপে। সাড়ে তিন বছর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জানিয়েছিল কিছু উদ্যোগের কথাও। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ছেড়ে শ্রেণিকক্ষে ফেরার পর বিভিন্ন দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা রাস্তায় নামেন। এরপর সরকারের প্রতিশ্রুতি ও উদ্যোগও সব আটকে যায়। ফলে ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা গিয়েছিল, চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই তা ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, যখন যে পক্ষ শক্তি দেখাতে পারে, সে পক্ষকে খুশি করার চেষ্টা করে সরকার। তবে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকেরা যেহেতু সংগঠিত এবং প্রভাবশালী, দিন শেষে সরকারি সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষেই যায়।নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৩০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর সিংহভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে শাজাহান খানের নেতৃত্বে ১০১ দফা সুপারিশ প্রণয়নের পর- তা এখন ডিপ ফ্রিজে আটকা পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবহণ খাতে সুশাসন অনুপস্থিত। এ কারণে যে যার মতো করে চলছে।

মহাসচিব আরও বলেন, সড়কে সবাই ইচ্ছেমতো প্রভাব বিস্তার করে আইন ভাঙছেন। চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নৈরাজ্য এখন চরম আকার ধারণ করেছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিল। তখন সবাই বলেছিলেন শিক্ষার্থীরা তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, কিছুদিন পর সবই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। রাস্তায় মৃত্যু বন্ধ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবার রাস্তায় ফিরে এলো।

‘শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলন শুধু হাফ ভাড়ার জন্য নয়, সড়কে পুরো অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে। রাষ্ট্র এ বিশৃঙ্খলা বন্ধ না করলে, এর সমাধান পাওয়া কঠিন। দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না।’

সব পথের গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের হাফ পাশ ও সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, যাত্রী কল্যাণ সমিতি সহসভাপতি তাওহিদুল হক, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তাপপ্রবাহ নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়া: অপু

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ নথি সই, চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, বিএনপি দেখে না: কাদের

মার্কিন চাপ নয়, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হলেই জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস