শক্তি বাড়ছে জাওয়াদের, সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজারে। ক্রমেই বাড়ছে এর শক্তি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়া সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
শনিবার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৪ ডিসেম্বর যেসব জাহাজ সেন্টমার্টিন গেছে, সেগুলো ফিরে এসেছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আর কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি যতদিন ভালো হচ্ছে না ততদিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার দুপুর থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের সব সমূদ্রবন্দরকে ২ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সব মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক দুলাল দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।