অস্ত্রসহ সম্রাটের অন্যতম সহযোগীকে গ্রেপ্তার করলো র‌্যাব

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৫১, শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
র‌্যাব
র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ইয়াবাসহ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদী আলম (৪২) ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার ভোরে রাজধানীর পল্টন এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মেহেদী আলমের সহযোগীর নাম যুবরাজ খান (৩২)।

র‌্যাব জানায়, মতিঝিল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগী যুবরাজ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মেদেহী ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত এবং যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের অন্যতম সহযোগী। সহযোগীদের নিয়ে মেহেদী গড়ে তুলেছিলেন চাঁদাবাজি, ফুটপাথ দখল করে চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধের আস্তানা। নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে পল্টনে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দখল করেন। সেখান থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে নানা অপরাধ করতেন। সম্রাট গ্রেফতারের পর গাঁ ঢাকা দেন তিনি। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর আবারও সক্রিয় হন মেহেদী।

শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৩ জানায়, মেহেদী ও তার সহযোগীরা পল্টনের হোটেলে খাবার খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যেতে চান। এতে তাদের বাধা দেওয়ায় হোটেল কর্মীদের মারধর করেন। এমন অভিযোগে পল্টনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেহেদী ও তার সহযোগী যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও তিন সহযোগী পালিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, মিথিলা এন্টারপ্রাইজের নামে পল্টন এলাকায় মেহেদী মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে চাঁদা আদায় করতেন। তার কাছে ২টি প্রেস আইডি কার্ড পাওয়া যায়, যা সাধারণ জনগণকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার করতেন। সাধারণ মানুষকে ফাঁসাতে বিভিন্ন ধরনের সিল ব্যবহার করতেন তিনি। ভয়ভীতি দেখাতে কখনো কখনো নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন মেহেদী ও তার সহযোগীরা।

এ ছাড়া তারা পুলিশ পরিচয়ে রাস্তায় পথচারীদের আটক করে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধারায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী যুবরাজের বিরুদ্ধেও তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

Share This Article