ইসরায়েল ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় আইসিসি
![ইসরায়েল ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় আইসিসি](/Uploads/Images/News/2024/5/Image-34396-20240521034133.webp)
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গাল্যান্ট ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা ও এর জেরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নেতানিয়াহু, গাল্যান্ট, সিনাওয়ার ছাড়াও হামাসের কাসেম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাছরি (মোহাম্মদ দায়িফ নামেও পরিচিত) ও সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাচ্ছেন।
এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আইসিসির বিচারক প্যানেলের কাছে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই প্যানেল তার আবেদনটি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।
করিম খান চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘নির্মূল, হত্যা, জিম্মি করা, ধর্ষণ ও আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনে’র অভিযোগ এনেছেন। তিনি মনে করেন, উভয় পক্ষের লোকজন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত।
আইসিসির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নেতারা বলছেন, তারা আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়তে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের হাত বেঁধে ফেলা ও আত্মরক্ষার অধিকারকে নষ্ট করার মতো।
ইসরায়েলের রাজনীতিক ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গাৎজ আইসিসির এ সিদ্ধান্তকে ‘দুর্যোগ’ বলে বর্ণনা করেছেন। এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের বিরোধীদলের নেতা ইয়ার লাপিদও।
অপরদিকে হামাস বলছে, আদালত ‘ভুক্তভোগী আর ঘাতককে সমানভাবে মূল্যায়ন করেছে।’ জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, তিন হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্তভোগীকে ঘাতকের সমান করার শামিল। আদালতের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলকে গাজায় নির্মূল অভিযান চালানোয় প্রেরণা দেবে।
ইসরায়েলের রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে আইসিসির এ ধরনের পরোয়ানা নজিরবিহীন; প্রথম কোনো মার্কিন মিত্র দেশের সরকারপ্রধান এ পরোয়ানা পেলেন। এর আগে ইউক্রেনে অভিযান চালানো ও যুদ্ধাপরাধ সংগঠনের অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।