জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাব বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ কি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫৫, শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রেজল্যুশনটির প্রাসঙ্গিকতা বেড়েই চলেছে। ফলে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি জাতিসংঘে ভালো ভূমিকা রাখতে পারছে।

সংঘাত-সংকটে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। শান্তি নেই বহু দেশে। কোথাও শিক্ষা-সামাজিক উন্নয়ন বা টেকশই অর্থনৈতিকের অভাব, আবার কোথাও নারী-পুরুষের মাঝে নেই সমতা। এমন সব সমস্যা দূরীকরণে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ গড়ে তোলে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এভাবেই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কাজ করছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ।

শান্তির সংস্কৃতি নিয়ে শুরুটা ইউনেস্কো করলেও প্রথমবারের মতো রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে তথা শেখ হাসিনার সরকারের আমলে। এরপর থেকে প্রতি বছরই বিষয়টি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপনের মাধ্যমে উচ্চপর্যায়ের একটি ফোরামের আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ। ন্যায়বিচার-সাম্যতা আর অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠাকে ত্বরান্বিত করতেই উচ্চ সভায় আলোচনা করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এতে কো-স্পনসর করেছে ১১২টি দেশ। এবারের রেজল্যুশনটি বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সব সদস্য রাষ্ট্র বা অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করে। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।

মূলত আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে রেজ্যুলেশনটি উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি, টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নারী পুরুষের মধ্যে সমতা, গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ, বোঝাপড়া, সহনশীলতা, সংহতি অংশগ্রহণমূলক যোগাযোগ এবং তথ্য ও জ্ঞানের অবাধ প্রবাহ। এসব বৈষম্যের কারণে এখনও যুদ্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে অনেক দেশ।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রেজল্যুশনটির প্রাসঙ্গিকতা বেড়েই চলেছে। ফলে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি জাতিসংঘে ভালো ভূমিকা রাখতে পারছে। এছাড়া দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে রেজল্যুশনটি অন্যতম কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত।

Share This Article


১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

গণভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা সিক্ত শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা

ফিলিস্তিনি আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

বুদ্ধ পূর্ণিমায় নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

‘কার্বন নিঃসরণ কমাতে উন্নত বিশ্বকে মনোযোগ দিতে হবে’

সুশাসন সূচকে ফের শীর্ষে সিঙ্গাপুর

কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

৫৩২ বাংলাদেশির বাড়ি-ফ্ল্যাট আছে দুবাইয়ে

এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী