সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দেখে পেশাগত জীবনে আমি বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছি। ব্যক্তিজীবনেও তাদের অনুসরণ করি। এজন্য আমি চাই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হোক।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে গিয়ে এই তারিফ করেন প্রতিষ্ঠানটির ডিস্টিংগুইশ বা বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. হাসান আব্বাস। নেসা তথা ‘নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ হলো মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের অন্যতম প্রধান সংস্থা।
হাসান আব্বাস বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। যেকোনো দেশই এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে কিছুটা হিমশিম খায়। কিন্তু খুব দ্রুত সময়ে চরমপন্থী বা সন্ত্রাসীদের দমন করেছে বাংলাদেশ; যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বহুদূর এগিয়েছে।
নেসা সেন্টার’র এই প্রফেসর বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দেখে পেশাগত জীবনে আমি বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছি। ব্যক্তিজীবনেও তাদের অনুসরণ করি। এজন্য আমি চাই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হোক। আমাদের প্রতিষ্ঠানও একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৪৬ সদস্যের একটি দল নিয়ে স্থানীয় সময় ২ মে বাংলাদেশ দূতাবাসে যান ড. হাসান আব্বাস। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।