ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার দাবি ইসরায়েলের

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০৫, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩০

ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শনিবার রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী নজিরবিহীন আক্রমণের জেরে এবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। অন্তত ৩২ দেশকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি।

এক্স পোস্টে ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘আজ সকালে আমি ৩২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

ইরানকে প্রতিহত এবং দুর্বল করে দিতে দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আর দেরি নয়। ইরানকে এখনই থামাতে হবে।

এ প্রসঙ্গে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার সরকার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করছে।

এদিকে, ইরানের হামলাটি পক্ষান্তরে কাজে দিয়েছে তেল আবিবের। হামলাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য ভীষণ প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মোতাসেম আ দল্লউল। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল এবং ইরান পরস্পর ভাইয়ের মতো, যাদের অভিভাবক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ঝগড়া-বিবাদের ওপর নজর রাখছে ওয়াশিংটন। কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করবে যখন তারা একে অন্যের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে উঠবে।

গত কয়েক মাস ধরে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতি অন্ধ সমর্থনের কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি সহ্য করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের মতো দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন এবং এর যুদ্ধাপরাধকে ন্যায্যতা অব্যাহত রাখতে একটি নতুন অজুহাত খুঁজে ফিরছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় চলমান গণহত্যার মতো অপরাধ লুকাতে এবং বিশ্ববাসীর মনোযোগ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে ইরানের হামলা পরোক্ষভাবে উপকারে এসেছে তেল আবিবের। সেই সঙ্গে আরব দেশগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ইসরায়েলই নয় তাদের প্রচ্ছন্ন শত্রু হচ্ছে ইরান। তেহরানের বড় ধরনের সামরিক শক্তি যেকোন আরব রাষ্ট্রকেও অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিতে পারে।

এদিকে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো ইরানের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘সীমিত মাত্রায়’ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে তেল আবিব। ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী।

সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।  গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। 

Share This Article


পরের জন্মে বাংলায় জন্মগ্রহণ করতে চাই: নরেন্দ্র মোদি

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ

আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

মার্কিন চাপ নয়, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হলেই জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি পেলোসি

এআই নীতিমালা : সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

কমলা রঙে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ

৭ বছর পর পুরুষ থেকে নারী হলো জলহস্তীটি!

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি