সেনাবাহিনীর ফুটবল দলের চমক

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৪৭, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
সেনাবাহিনী ফুটবল দল
সেনাবাহিনী ফুটবল দল

স্বাধীনতা কাপে মোহামেডানকে হারিয়ে সেনাবাহিনীর চমক।

স্বাধীনতা কাপে প্রথম ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হেরেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে চমক দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে ইমাম হোসেনের দল। আজ (বৃহস্পতিবার) ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে দলটি। ‘সি’ গ্রুপে এখন চার দলের সামনে নকআউট পর্বে ওঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে। শেষ ম্যাচে নির্ধারণ হবে কোন দুটি দল খেলবে শেষ আটে।

সেনাবাহিনীর খেলা দেখলে আসলে বোঝার উপায় নেই যে, পেশাদার ফুটবলের দল নয় তারা। দলে একমাত্র জাতীয় দলের খেলোয়াড় মেহেদী হাসান। বাকিরা সবাই সার্ভিসেস দলটির হয়ে নিয়মিত খেলেন। এই দলটি কিনা বৈচিত্র্যময় ফুটবল উপহার দিয়ে মোহামেডানকে নাস্তানাবুদ করেছে। সাদা-কালোরা এবারও সাদামাটা দল গড়েছে। এছাড়া চার বিদেশির তিনজনই নেই। মালির সোলেমান দিয়াবাতে ভরসা। এই দল নিয়ে কোনও বিভাগেই পেরে উঠতে পারেনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে সেনাবাহিনী আক্রমণে। রক্ষণ জমাট রেখে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়েছে। ম্যাচ শুরুর ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় দলটি। ডান প্রান্ত থেকে ইমতিয়াজ রায়হানের ক্রসে রঞ্জু শিকদারের দারুণ সাইড ভলি সোজা জালে গিয়ে আঘাত হানে। পরের মিনিটে দিয়াবাতের জোরালো শট গোলকিপার আলমগীর হোসেন প্রতিহত করলে সমতায় ফেরা হয়নি। এই একটি প্রচেষ্টা ছিল বলার মতো।

বিরতির পরও সেনাবাহিনীর দাপট কমেনি। ৬০ মিনিটে সাইফ সামসুদের কোনাকোনি শট গোলকিপার কোনোমতো হাত দিয়ে রুখে দেন।

৯ মিনিট পর সেনাবাহিনী ব্যবধান দ্বিগুণ করে। শাহরিয়ার ইমন একক প্রচেষ্টায় দলকে এগিয়ে নেন। ডান প্রান্ত দিয়ে এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে এই ফরোয়ার্ড বক্সে ঢুকে জোরালো কোনাকোনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

যদিও শেষ দিকে এসে শন লেনের দল এক গোল শোধ দেয়। যোগ করা সময়ে মিনহাজুল আবেদীন জটলা থেকে লক্ষ্যভেদ করলেও হার এড়াতে পারেনি। ম্যাচ জিতে তাই সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়দের উল্লাস ছিল দেখার মতো।

 

 

Share This Article