বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ : যা চায় যুক্তরাষ্ট্র
![বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ : যা চায় যুক্তরাষ্ট্র](/Uploads/Images/News/2024/2/Image-31957-20240229055045.webp)
শুধু অর্থায়ন নয়, বরং কারিগরি জ্ঞান বা প্রযুক্তি বা শিক্ষাও জরুরি। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও জানান বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের আগে অন্য সুর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ-সুষ্ঠু ভোটের কথাই বারবার বলে আসছিল মার্কিন প্রশাসন। তবে ভোটের পর পাল্টে গেছে সেই সুর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়ের’ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এই অধ্যায়টি কী হবে, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কি করতে চাচ্ছে, বা এখানে তাদের কি উদ্দেশ্য রয়েছে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে এসেছিলেন। সফরকালে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সচিব ও মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন। সেখানে ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করতে দেশটির উদ্দেশ্য নিয়ে সম্যক একটি ধারণা পাওয়া যায়।
বলা বাহুল্য, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর প্রথমে উল্লেখ রয়েছে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি। এছাড়া সহযোগিতার আরেকটি ক্ষেত্র হচ্ছে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু। এরপর অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের অভিন্ন ভিশনের কথা বলা হয়েছে। এর মাঝে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানিসহ অন্যান্য সহযোগিতা। আর এসব বিষয় নিয়েই বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (ডিএসপি) বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করারও প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের একটি দেশ হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রে আরও যুগপোযোগী পরিবর্তন দরকার। এসব কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য অনেকাংশে বৈদেশিক সহায়তার প্রয়োজন। শুধু অর্থায়ন নয়, বরং কারিগরি জ্ঞান বা প্রযুক্তি বা শিক্ষাও জরুরি। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগীতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও জানান বিশ্লেষকরা।