বিবিসির প্রতিবেদন: পোশাক রফতানিতে আমেরিকার ‘বিকল্প’ বাজার খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ
সাম্প্রতিক বছরে ডলারের অংকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে জাপান থেকে। এমনকি দেড় দশক আগে মিলিয়ন আয় থাকলেও ২০২৩ সালে পৌঁছেছে বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। কর্মসংস্থান আর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে প্রতি বছরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এ খাত। তবে একসময় পোশাক রফতানিতে শুধুমাত্র আমেরিকা নির্ভর থাকলেও এখন বিকল্প বাজার খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’র এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একদশক আগেও আমেরিকার বাইরে অন্য সব দেশে পোশাক রফতানি ছিল মোট আয়ের মাত্র ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশে। মূলত আমেরিকার বাজারে রফতানি কিছুটা কমতেই ইতিবাচক সাড়া দেয় বিভিন্ন দেশ; যারা বাংলাদেশে নন-ট্রেডিশনাল মার্কেট হিসেবে পরিচিত।
এই তালিকায় রয়েছে জাপান-চীন, রাশিয়া-ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের মতো বড় কয়েকটি দেশ। সাম্প্রতিক বছরে ডলারের অংকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে জাপান থেকে। এমনকি দেড় দশক আগে মিলিয়ন আয় থাকলেও ২০২৩ সালে পৌঁছেছে বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এছাড়া বাকি রাষ্ট্রেও বেড়েছে রফতানি প্রবৃদ্ধি।
আমেরিকার বিকল্প বাজার আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন পোশাক শিল্পের মালিকরা। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরেকটু সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিতে বিশ্বের অনেক দেশেরই আগ্রহ রয়েছে। এজন্য পণ্য তৈরিতে গার্মেন্টস মালিকদের বৈচিত্র্য আনতে হবে। কেননা দেশভেদে মানুষের আকার-সংস্কৃতির ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া একাধিক পণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন, যেন ক্রেতারা এক কারখানা থেকেই সব নিতে পারেন। আর এসব কিছু করতে পারলেই বিকল্প বাজার আরও বাড়বে।