হুন্ডিতে টাকা পাঠিয়ে দেশ ও নিজের ক্ষতি করছেন যেভাবে
- সামান্য লাভের আশায় অবৈধ হুন্ডির আশ্রয়
- রেমিটেন্সের কয়েকগুণ আবার বাজারে দ্রব্যমূল্যের দিতে হচ্ছে
- দ্রব্যমূল্য বাড়ার একটি কারণ হচ্ছে অবৈধ হুন্ডি
- হুন্ডিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র ও জনগণ
গত সাত বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক হিসাবে কাজ করছেন সরফরাজ। প্রতিমাসেই তিনি পরিবারের কাছে টাকা পাঠান। টাকা পাঠানোর জন্য তিনি স্থানীয় একটি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে টাকা জমা দেন। এর দুই ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লায় তার পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়া হয়।
ব্যাংকে না গিয়ে, কাগজপত্র জমা না দিয়ে ও দেশের স্ত্রীকে টাকা তুলতে বাজারের কোনো ব্যাংকে যেতে হয়নি।
সরফবরাজের মনে হয়, এভাবে টাকা পাঠালে সহজে বাড়ির লোকজন হাতে টাকা পায়। আবার ব্যাংকের চেয়ে কয়েক হাজার টাকা বেশিও পাওয়া যায়।
বিদেশে যে বাড়িতে প্রবাসী সরফরাজ থাকেন, সেখানে আরও ছয়জন বাংলাদেশিও থাকেন। তারা সবাই এভাবেই দেশে টাকা পাঠান। সরফরাজ যে প্রক্রিয়ায় দেশে টাকা পাঠান, তাকে হুন্ডি বলা হয়, যা আইনের দৃষ্টিতে 'অবৈধ অর্থ লেনদেন'।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈধপথে রেমিটেন্স না পাঠানোর ফলে একদিকে আমদানী ব্যয় বেড়ে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে আকাশচুম্বি হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। একটু ঝামেলা থেকে বাঁচতে ও সামান্য লাভের আশায় অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠালেও যে টাকা তার পরিবার পান, তার কয়েকগুণ আবার বাজারে দ্রব্যমূল্যের জন্য দিতে হচ্ছে।
দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে অবৈধ হুন্ডি,যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র ও জনগণ।