রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম বাসায় পৌঁছে দেব: চুন্নু
![রওশন এরশাদ চাইলে মনোনয়ন ফরম বাসায় পৌঁছে দেব: চুন্নু](/Uploads/Images/News/2023/11/Image-28657-20231125114529.webp)
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আমাদের সম্মানিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ গতকালও (শুক্রবার) আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। তিনি তার ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলামের জন্য তিনটি মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন। আজ তার লোক এলে আমরা মনোনয়ন ফরম দিয়ে দেব। বেগম রওশন এরশাদ বললে, আমরা তার মনোনয়ন ফরম পাঠিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দেব।’
আজ শনিবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জনবন্ধু জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করব। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যারা দলে দীর্ঘদিন পার্টিতে অবদান রেখেছেন, এলাকায় যার জনপ্রিয়তা, দেশ ও মানুষের প্রতি তার কতটুকু দরদ আছে এসব বিবেচনা করেই আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করব। আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আমরা চাই সাধারণ ভোটাররা যেনো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
চুন্নু বলেন, ‘আজ বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামীকাল রবিবার ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে, বিভিন্ন কারণে যারা ফরম তুলতে পারেননি, তারা পার্টি চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে মনোনয়ন ফরম তুলতে পারছেন।’
এর আগে, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা এবং জাতীয় পার্টি মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়।
মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত প্রমুখ।