মুখোমুখি অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএসইসি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২৪, বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

ব্যাংক প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সভা শেষে বিএসইস‘র কমিশনার সংবাদ মাধ্যমকে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এ পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগের বিষয়ে বিদ্যমান কতিপয় আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয়ে বিএসইসি প্রতিনিধি দলকে স্পষ্টীকরণ করা হয়; তবে এ সকল বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সভা শেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-এর প্রতিনিধির বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উক্ত সভায় কতিপয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয়।

এতে আরও বলা হয়, বিএসইসিএর উদ্যোগে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠনের ফলে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং পুঞ্জিভূত লোকসান বিদ্যমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বছরের মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৩৫(১)(গ) ধারা ও ২২ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১০ ধারার বিষয়গুলো ব্যাখ্যাপূর্বক ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অদাবীকৃত তহবিল স্থানান্তরের এবং পুঞ্জিভূত লোকসান বিদ্যমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বছরের মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের বিষয়টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইনসম্মত নয় বলে বিএসইসি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়। এবং বিএসইসি-এর নোটিফিকেশনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এছাড়াও সভায় পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ,কে,এম সাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে পূর্বনির্ধারিত সভা বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হয়।

Share This Article