সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৭, বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

সিরাজদিখান প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সীমাহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম, এজিএম (কম), পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর, ওয়্যারিং (ইন্সপেক্টর) পরিদর্শক, মিটার রিডার, পিসিএমসহ অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে বলে জানা যায়।

শত শত গ্রাহকের অভিযোগ, অফিসে দেন-দরবার ও ছোটাছুটি করে অনেকে আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে অথবা তাদের নিয়মের বাইরে গেলে সংযোগ তো দূরের কথা, নানা অজুহাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষ আয়কৃত লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে মাঠপর্যায় থেকে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ডিজিএম পর্যন্ত পৌঁছানোর কারণে সবকিছুই চলছে নীরবে নিভৃতে।

নাম না প্রকাশে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কয়েক জন ইলেক্ট্রিশিয়ান জানান, অফিস থেকে আবেদনের মাধ্যমে মিটার নেওয়ার টাকার পরিমাণ তালিকা তৈরি করে ঝুলিয়ে রাখলেও সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসানকে ৩০০ টাকা, ওয়্যারিং পরিদর্শক মো. শাকিল পারভেজ চৌধুরীকে ২০০ টাকা ও পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর মো. খালেদকে ৭০ টাকাসহ মোট ৫৭০ টাকা না দিলে কোনো নতুন মিটার পরিদর্শনে স্বাক্ষর করেন না ওয়্যারিং পরিদর্শক শাকিল পারভেজ এবং ফাইল অ্যাপ্রুভ করেন না ডিজিএম। এ ঘটনায় প্রতিটি ইলেক্ট্রিশিয়ানের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এই ৫৭০ টাকা না নিলে গ্রাহকেরা আরও কম টাকায় মিটার পেতে পারতেন বলে জানান তারা।

মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়া গ্রামের গ্রাহক আব্দুল করিম বলেন,  শুনেছি গত সোমবার রাতে আমার বাড়ির পাশের রাস্তায় তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই থ্রি-ফেস লাইনে ও খুঁটিতে উঠে তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা আশ্চর্য বিষয়। এ ঘটনার এলাকায়  চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

চুরি হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম ও কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় টাকা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। মনে হয় ঘটনাটি পরিকল্পিত। চুরি হলেই জরিমানার জন্য টাকা দিতে হবে গ্রাহকদের।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের  ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুর হাসান ও ওয়্যারিং পরিদর্শক শাকিল পারভেজ চৌধুরীর নাম্বারে ফোন দিলে তারা ফোনে কথা বলতে চাননি।

সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুর হাসান ও কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দুর্নীতি বন্ধের ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিরাজদিখানবাসী।

Share This Article