রমজানে গর্ভবতী নারীদের জন্য যে নির্দেশনা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩৩, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯

গর্ভবতী নারীদের জন্য রমজানের নির্দেশনামূলক তথ্য জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, রোজা রেখে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় না খেয়ে থাকার কারণে ফিটাসের বা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে রোজা না রাখার পরামর্শ থাকলেও নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শের মাধ্যমে এবং শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকলে রোজা রাখতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তারা। এক্ষেত্রে আধুনিক ইনসুলিন ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন তারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) মিলন অডিটোরিয়ামে ‘রমজানে ডায়বেটিস ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সার্বিক সহযোগিতায় ডিএমসির এন্ডোক্রাইন বিভাগ ও শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চিকিৎসকদের নির্দেশনামূলক এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, এ বিষয়ে দেশের কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব ও মিসরের কায়রোতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামি চিন্তাবিদদের মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এর সপক্ষে ধর্মীয় যুক্তিগুলো উপস্থাপন করা হয়।

ডিএমসির এন্ডোক্রাইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো শফিকুল আলম চৌধুরী, ডিএমসির এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম সাইফউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদারসহ প্রায় সাতশ শিক্ষক, নার্স ও চিকিৎসক।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, দেশের ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ডিএমসির এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে দেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত হারে বেড়ে চলছে বলে চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণরূপে প্রদান করতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জানে না যে তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। তথ্যমতে, এ দেশে প্রায় দেড় কোটি বা প্রতি ১৫ জনে একজন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই এ সময় নিশ্চিত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইন বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া দেশের কেন্দ্রীয় এ হাসপাতালটির মেডিসিন ও শিশু বিভাগসহ সব বিভাগই বর্তমানে বিশেষ নজর দিয়ে ডায়বেটিস রোগের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কেননা এখন সব বয়সের ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং রোগটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েই চলছে।

Share This Article