সমুদ্রে অফুরন্ত সম্পদ আহরণে বাংলাদেশকে ১০ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:২৯, সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় সমুদ্রে ও তলদেশে গ্যাস-হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের একটি জমাট স্তরের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে এবং এর অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুদের ব্যাপারেও একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে

দেশের মোট আয়তনের প্রায় কাছাকাছি ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারেরও অধিক সমুদ্রসীমা রয়েছে বাংলাদেশের, যেখানে রয়েছে অফুরন্ত সম্পদের ভান্ডার। ২০১৪ সালে এ সীমানা নির্ধারণের পর বাংলাদেশের সামনে অপার সম্ভাবনা দেখা দেয়, সেই সম্পদ ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার। 

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দশ বছর পার হলেও সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ছোটখাটো যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তার ফলাফলও আশাব্যঞ্জক নয়। প্রতিবেশী দুই দেশ যেখানে তাদের সমুদ্র অঞ্চল থেকে তেল ও গ্যাস তুলছে এবং মৎস্য আহরণ করছে, সেখানে নিজেদের সমুদ্র সম্পদ সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণা ও তথ্য-উপাত্তই নেই বাংলাদেশের। 

এমন পরিস্থিতিতে আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার। সমুদ্র সম্পদ আহরণে ইতোমধ্যে এ অর্থ বাংলাদেশকে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি)।

সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বঙ্গোপসাগর-ভিত্তিক অর্থায়ন ছাড়াও সেবাখাতের বিভিন্ন প্রকল্প ও সম্ভাবনাময় বেসরকারি খাতে এ অর্থ বিনিয়োগ করবে সংস্থা দুটি; যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে কমিশন।

২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ গবেষণার পর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত সমুদ্র এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু মূল্যবান উদ্ভিদ জাত এবং প্রাণীজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরমধ্যে কিছু প্রজাতির সি উইডে প্রচুর প্রোটিন আছ যা ফিশ ফিড হিসেবে আমদানি করা ফিশ অয়েলের বিকল্প হতে পারে। আবার কিছু প্রজাতি অ্যানিমেল ফিডের মান বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হতে পারে। কসমেটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায় এমন সি উইডও অনেক পাওয়া গেছে সমুদ্রে।

অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় সমুদ্রে ও তলদেশে গ্যাস-হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের একটি জমাট স্তরের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে এবং এর অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুদের ব্যাপারেও একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।

এ ধারণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ০.১১ থেকে ০.৬৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট সম্ভাব্য প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট জমার অনুমান পাওয়া গেছে যা ১৭-১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের সমান। এ বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট এর উপস্থিতি ও মজুদের সমূহ সম্ভাবনা আগামী শতকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সামগ্রিক চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদকে পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিবছর আড়াই লাখ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

Share This Article


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা পেছাতে ইসির চিঠি

পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক

স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব 'কমিউনিটি ক্লিনিক': কমেছে মাতৃ-শিশুমৃত্যু, মিলছে উন্নত সেবা

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর টার্মিনাল বানাচ্ছে দুবাই

রাত ৮টার পর শপিং মল-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান বিদ্যুৎ বিভাগের

টানা এক মাস ধরে দাবদাহে রেকর্ড

পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫

ঢাকাসহ ২৭ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ

ভোটারবিহীন নির্বাচন চুন ছাড়া পানের মতো, বললেন ইসি রাশেদা

বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

২ মে পর্যন্ত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

দুপুরে দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আব্দুল্লাহ