গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান
![গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান](/Uploads/Images/News/2023/1/Image-22190-20230124123800.webp)
আগামী কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ যদি পাকিস্তানের ব্যাপারে তাদের কার্যক্রম সচল না করে তাহলে অচিরেই পাকিস্তানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি আইএমএফ পাকিস্তানকে তাদের ২৪তম ঋণ দিতে বিলম্ব করছে এবং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশ পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সহায়তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যদিও সহায়তা পেতে পাকিস্তান শেষপর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে মনে হচ্ছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে আল আরাবিয়ার বিশ্লেষণে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়- পাকিস্তান এমন সময় বিপর্যয়ের সসম্মুখীন হলো যখন পুরো দেশে মুরগি ও ডিমের দাম হু-হু করে বেড়েই চলেছে।
পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য দেশটির মন্দ রাজনীতিক দায়ী বলে ওই বিশ্লেষণে বলা হয়।
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে অকার্যকর রাজ্য ব্যবস্থাপনা; যা গণতন্ত্র ও ঋণের চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। স্বল্প মেয়াদি রাজনৈতিক পরিকল্পনা পাকিস্তানের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ফলপ্রসূ পরিকল্পনা।
বিশ্লেষণে বলা হয়- দেশটির উচিৎ পেছনের সব অকার্যকর পলিসি বাদ দিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করা কিন্তু কেউই এদিকে মনোযোগী নয়।
আগামী নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাঝে রাজনৈতিক যুদ্ধ দেশটির সংকট আরো কঠিন করে তুলছে।
তবে এসব কিছু বাদে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে পাকিস্তানের এখন জরুরিভিত্তিতে ঋণ প্রয়োজন।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে যে, তারা পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়ে অবগত। গত ১৯ জানুয়ারি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান সংকটের প্রতি আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি৷
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকলাপে বোঝা যাচ্ছে তারা আইএমএফের বাইরে গিয়ে পাকিস্তানের জন্য বিশেষ কিছু করতে রাজি নয়।
আইএমএফের পক্ষ থেকে ঋণ পেতে বিলম্ব হওয়ায় দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে গত বছর কৃষিপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে বন্যার ফলে গম উৎপাদন কম হওয়ায় দেশটি গম সংকটেও পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন।
অর্থনৈতিক মন্দার ফলে দেশটিতে রুপির মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভ কমতে কমতে ৪০৩৪ কোটিতে ঠেকেছে; যা বিগত নয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।