বর্জ্য থেকে হবে বিদ্যুৎ ১৮ মাসের মধ্যেই

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৫০, বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তির মাধ্যমে দেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বুধবার আমিন বাজারে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, ইনসিনারেশন পদ্ধতি অর্থাৎ বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা প্রয়োজন হবে তা সরবরাহ করলে শহরে ময়লার সমস্যা থাকবে না।  

তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কার্যক্রম শুরু হওয়ার ১৮ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে চীনা কোম্পানি। এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে।  আর উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে বিদ্যুৎ বিভাগ।

তাজুল ইসলাম জানান, শুধু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নয়, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামসহ দেশের সব সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় ও জেলা শহর এমনকি পৌরসভাগুলোতেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, যেসব বিভাগী বা জেলা শহর অথবা পৌরসভা প্রতিদিন ৬শ টন ময়লা আবর্জনা সরবরাহ করতে পারবে তারা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সরাসরি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেতে পারবে।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করার কথা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম জানান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফরে গিয়ে সেসব দেশের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাপান এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে মডেল অনুসরণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তার চেয়ে বাংলাদেশের জন্য ইনসিনারেশন অর্থাৎ বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি সর্বোত্তম। এই পদ্ধতিতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনার রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মত বর্জ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আমিন বাজার এলাকায় চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএমইসি) ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।  ব্যয় হবে প্রায় ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য লাগবে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৮ দশমিক ২৯৫ টাকা ।

Share This Article


ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন

ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির খবরে বিএনপি গাত্রদাহ হচ্ছে : কাদের

নোবেলজয়ী ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী

২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে

চলতি মৌসুমে চাল আমদানি করতে হবে না

সংঘাত নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মসংস্থান ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব পদক্ষেপ নেব : ইসি রাশেদা