গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, তবে আবাসিকে নয়: কারণ জানালো সরকার
![গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, তবে আবাসিকে নয়: কারণ জানালো সরকার](/Uploads/Images/News/2023/1/Image-22073-20230120143345.webp)
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে চলছে জ্বালানি সংকট। এমতাবস্থায় দেশের জ্বালানি খাতকে স্বাভাবিক রাখতে নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি খাতে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে গত ১৮ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে দেশের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে, সে কারণে সরকার বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে গ্যাসের ট্যারিফ সমন্বয় নিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যায় এসব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে এলএনজি’র আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হচ্ছিল। এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান উৎপাদন-সরবরাহ সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সব খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, সার্বিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা/ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা/ঘনমিটার এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০.৫০ টাকা/ঘনমিটার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে অন্যান্য ভোক্তা শ্রেণি যথা: গৃহস্থালি, সিএনজি, চা-শিল্প (চা-বাগান) ও সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। গ্যাসের সমন্বিত নতুন মূল্যহার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।