আত্মসমর্পণের পর লঞ্চের দুই মাস্টার কারাগারে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৩, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৩ পৌষ ১৪২৮
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠিতে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মামলায় আত্মসমর্পণের পর ওই নৌযানের মাস্টার ইনচার্জ রিয়াজ সিকদার এবং দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করার পর জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুই আসামির জামিন আবেদনের শুনানি করে নৌ-আদালতের বিচারক বিশেষ মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন।

 

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের করা এ মামলায় রিয়াজ ও খলিলের নাম রয়েছে যথাক্রমে ৫ ও ৭ নম্বরে। মামলার ১ নম্বর আসামি লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় অভিযান-১০। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে পুলিশ। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৮০ জন।

রাত ৩টার দিকে যখন চলন্ত লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়, যাত্রীদের বেশিরভাগই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। না থামিয়ে ওই অবস্থায় চালিয়ে নেওয়া হয় অনেকটা পথ। এক পর্যায়ে নদীর মধ্যে পুরো লঞ্চ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

ওই ঘটনায় সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে রোববার মতিঝিলের নৌ আদালতে মামলা দায়ের করেন । সেখানে লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মামলার বাদী শফিকুর রহমান জানান, এজাহারের দুই আসামি রিয়াজ ও খলিল মঙ্গলবার সকালে বিআইডব্লিটিএ ভবনে নৌ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, বলেন, “আসামিরা তাদের কর্তব্য ও যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিপদে জাহাজ ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা কোনো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করেননি। অগ্নিকাণ্ডের পর জাহাজ তীরে না ভিড়িয়ে চালু রেখে চরম অবহেলা প্রদর্শন করেন।”

দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে নৌ-আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নৌযান আইনের এ মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর ইঞ্জিন রুম থেকে আগুযনের সূত্রপাত হয়। পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুরো নৌযানটি আগুনে পুড়ে যায়। সেখানে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রও ছিল না। পর্যপ্ত বালির ব্রাক্স ও বালতি ছিল না। ইঞ্জিন রুমের বাইরে অননুমোদিত অনেকগুলো ডিজেল বোঝাই ড্রাম এবং রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা ছিল, যা নিয়মের পরিপন্থি।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


দাবদাহে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিবের ঢাকা সফর স্থ‌গিত

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের উন্নতি

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু

এবার ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

‘স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে’

এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

ঢাকায় ভিসা সেন্টার খুলল চীন